আলোকপাত

সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দারিদ্র্য হ্রাসে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করছে?

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রস্তাবিত মোট বরাদ্দ ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন, যা মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের তুলনায় আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দের পরিমাণ ১৩ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা বেশি। গত কয়েক অর্থবছরের বাজেটে সুরক্ষা কার্যক্রমে বরাদ্দের পরিমাণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রত্যেক বছর বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। পাশাপাশি এটাও সত্য, প্রতি বাজেটে উপকারভোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দারিদ্র্য হ্রাসে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পন্থা হলেও বাংলাদেশের বাজেটে উপকারভোগীদের মাথাপিছু বরাদ্দের পরিমাণ অতিসামান্য পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং মূল্যস্ফীতির কারণে উপকারভোগীদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দেশে দারিদ্র্য হার হ্রাসে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা সবিশেষ আলোচনার দাবি রাখে। 

২০০৫ সালে রচিত দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রে (পোভার্টি রিডাকশন স্ট্র্যাটেজি পেপার - পিআরএসপি) সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে দারিদ্র্য হ্রাসে গরিবদের কাছে সরাসরি সম্পদ হস্তান্তরে গৃহীত কার্যাবলি, নীতি ও কর্মসূচি বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরাসরি উপকারভোগীদের মধ্যে রয়েছেন গরিব ও অতিগরিব বয়স্ক ব্যক্তি, গরিব ও অতিগরিব বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী, গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্র গর্ভবতী মা, শহর অঞ্চলে কম আয়ের কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার, এতিম শিশু, বীর মুক্তিযোদ্ধা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, চা শ্রমিক, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগী। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে মোট কর্মসূচি থাকছে ১১৫টি।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতাভুক্ত গরিব ও অতিগরিব বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ, যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৭ লাখ ১ হাজার জনে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ শ্রেণীতে ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ ১ হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতাভোগীর ভাতা আগামী অর্থবছর থেকে মাসিক ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ কর্মকাণ্ডের আওতায় বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ, যা বছর বছর বেড়ে চলতি অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৭৫ হাজারে। আগামী অর্থবছরে এ শ্রেণীর ভাতাভোগীর সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে ২৫ লাখ ৭৫ হাজারে দাঁড়াবে। এ শ্রেণীর ভাতাভোগীর মাসিক ভাতা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা চলতি বছরের ২৩ লাখ ৬৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে আগামী অর্থবছরে ২৯ লাখ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর বর্তমান সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ থেকে বৃদ্ধি করে আগামী অর্থবছরে ৬ হাজার ৮৮০ জনে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমে উপকারভোগীর বর্তমান সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ থেকে ৮২ হাজার ৫০৩ জনে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর (তারা এর আগে গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্র গর্ভবতী মা, শহর অঞ্চলে কম আয়ের কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার ভাতাভোগী হিসেবে পরিচিত ছিল) সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ ৪ হাজার করা হচ্ছে। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর ভাতার হার দৈনিক ২০০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকায় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

যেহেতু সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দারিদ্র্য হ্রাসে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পন্থা, অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় উল্লিখিত ও অনুল্লিখিত তথ্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দারিদ্র্য হ্রাসে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করছে কিনা এবং না করলে তার কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা এ নিবন্ধে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে বা খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২ অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্য হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৬ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপে দেশে দারিদ্র্য হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে বলে চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, যদিও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মতো বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, সে সময় দারিদ্র্য হার অনেক বেশি ছিল। ১৮ দশমিক ৭ দারিদ্র্য হারে ১৭ কোটি মানুষের দেশে বর্তমানে দরিদ্রের সংখ্যা প্রায় সোয়া তিন কোটি। এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছরে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে (যা মে মাসে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ) প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে সমাজে শ্রেণীবিন্যাসে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মধ্যবিত্তের নিম্ন-মধ্যবিত্তের ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের দরিদ্র এবং দরিদ্রের অতিদরিদ্রের স্তরে নেমে আসার জোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে দেশে দারিদ্র্য হার বেড়ে যাবে। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দেশে দারিদ্র্য হার হ্রাসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য বয়ে আনতে না পারার কারণগুলো নিচে আলোচিত হলো।

এক. বর্তমানে দুস্থ প্রবীণ বা বয়স্ক ভাতাভোগীদের মাসিক ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকা, যা আগামী অর্থবছরে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের বর্তমান মাসিক ভাতার পরিমাণ বর্তমানে ৫০০ টাকা, যা আগামী অর্থবছরে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫০ টাকার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। বয়স্ক ভাতাভোগী এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতাভোগীরা সম্ভবত সমাজের সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠী। দেশে যখন মূল্যস্ফীতির হার প্রায় দুই অংকে পৌঁছেছে, তখন এদের মাসিক ভাতার পরিমাণ যথাক্রমে ১০০ ও ৫০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনেকটা হাস্যকর মনে হয়। তাছাড়া আগামী বাজেটে হাতেগোনা কয়েকটি শ্রেণীর যথা- প্রবীণ দুস্থ ব্যক্তি, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রী ও অতিদরিদ্রদের ভাতার হার কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী অন্যান্য শ্রেণীর ভাতাভোগীদের ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন বলে দেখা যায় না। উচ্চহারে মূল্যস্ফীতির কারণে এদের বর্তমান ভাতার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এরা জীবনধারণের ন্যূনতম উপকরণের চাহিদা মেটাতে সমর্থ হচ্ছে না। সারকথা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীরা কোনো রকমে বেঁচে থাকছেন। জীবনমানের উন্নতি না হওয়ায় তাদের শ্রেণীগত পরিবর্তন হচ্ছে না। অর্থাৎ তারা অতিদরিদ্র বা দরিদ্রই থেকে যাচ্ছেন।

দুই. সামাজিক সুরক্ষা কর্মকাণ্ডের বরাদ্দ থেকে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ প্রদান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, সরকারি কর্মচারীদের পেনশন এবং সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের সুদ প্রদান বাবদ এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, যা অতিগরিব ও গরিব ভাতাভোগীদের বরাদ্দের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ড. আর এম দেবনাথ লিখেছেন, ‘মোটা দাগে দেখা যায়, দরিদ্র ও অতিদরিদ্ররা গড়ে বরাদ্দের প্রায় ৬০ শতাংশের মতো পায়। বাকিটা পায় যারা দরিদ্র/অতিদরিদ্র ক্যাটাগরিতে কোনোভাবেই পড়ে না, তারা। চলতি মাসের ৪ তারিখে প্রকাশিত একটি গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২২ শতাংশ বরাদ্দের টাকা পায় পেনশনধারীরা। সঞ্চয়পত্রের সুদে যায় ১১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। এসএমই খাতে সুদ-ভর্তুকিতে যায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কৃষি ভর্তুকিতে যায় ২১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের পেছনে খরচ হিসেবে যায় ২ হাজার ও ৮ হাজার কোটি টাকা’ (যুগান্তর, ১০ জুন)। 

তিন. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মকাণ্ডে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো উপকারভোগী নির্বাচন। উপকারভোগী নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। তারা ভোট, ভোটারের চিন্তা, আত্মীয়তার সম্পর্ক ইত্যাদি মাথায় রেখে তালিকা তৈরি করেন। এতে অনেক ক্ষেত্রে উপযুক্তরা তালিকাভুক্তি থেকে বাদ পড়েন, যার ফলে তারা কর্মসূচির সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন। সরকারি সমীক্ষার বরাত দিয়ে বেশকিছু দিন আগে একটি দৈনিকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সুবিধাভোগী নির্বাচনে অনিয়মের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বয়স্ক ভাতার শর্ত পূরণ করে না এমন ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৯ শতাংশ; বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতার ভূমিহীন শর্ত পূরণ করে না এমন ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৩ শতাংশ; গরিব না হয়েও ত্রাণ পায় এমন সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫৬ শতাংশ; ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্টের (ভিজিডি) ক্ষেত্রে ভূমিহীন বা সামান্য জমির অধিকারী হওয়ার শর্ত পূরণ করে না এমন উপকারভোগীর সংখ্যা ৪৭ শতাংশ। 

চার. দুর্নীতির কারণে সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় হয়। ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি), ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ), টেস্ট রিলিফ (টিআর) ইত্যাদি কর্মসূচিতে দুর্নীতির খবর প্রায়ই সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়। এসব দুর্নীতি অব্যাহত থাকার কারণে ভাতাভোগীরা তাদের জন্য নির্ধারিত অর্থের পুরোটা পান না, যা দারিদ্র্য হার হ্রাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মকাণ্ডের সুফল পেতে এবং দারিদ্র্য হার হ্রাসে করণীয় হলো: ক. কর্মসূচিতে এমনভাবে ভাতাভোগীর সংখ্যা ও ভাতার হার নির্ধারণ করা দরকার, যাতে একসময় ভাতাভোগীদের শ্রেণীগত অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং গরিব/অতিগরিবদের কাতার থেকে তাদের উত্তরণ ঘটে। দারিদ্র্য হ্রাসে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। খ. উপকারভোগী বাছাইয়ে দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করা, যাতে প্রকৃত গরিব/অতিগরিবরাই এ কর্মসূচিতে সুবিধাভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। গ. সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও সঞ্চয়পত্রের সুদ প্রদান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতার বাইরে রাখা সমীচীন হবে। কারণ এ দুই খাতের সুবিধাভোগীদের অধিকাংশই সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও সচ্ছল। সামাজিক নিরাপত্তা হচ্ছে রাষ্ট্রের এমন কর্মকাণ্ড, যার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হবে। পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। ঘ. কর্মসূচি বাস্তবায়নে চিহ্নিত দুর্নীতি হ্রাসে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েও কোনো লাভ হবে না। 

মো. আবদুল লতিফ মন্ডল: সাবেক সচিব

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন