বৈশ্বিক বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রি ৩২ শতাংশ বেড়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বছরের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রি বছরওয়ারি ৩২ শতাংশ বেড়েছে। গ্লোবাল প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক ভেহিকল মডেল সেলস ট্র্যাকারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ সময়ে বিক্রি হওয়া সাতটি গাড়ির মধ্যে একটি ছিল ইভি। এছাড়া মোট বিক্রীত ইভির ৭৩ শতাংশ ছিল ব্যাটারি ইভি (বিইভি), বাকি অংশ ছিল প্লাগ-ইন হাইব্রিড ইভি (পিএইচইভি)। 

কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইভি বাজারে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময়ে চীনের বাজারে ইভি বিক্রি ২৯ শতাংশ বেড়েছে, যদিও দেশটির মোট ব্যক্তিগত গাড়ির বিক্রি কমেছে ১২ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই ইভি বিক্রি বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে ৪৮টি গাড়ি ব্র্যান্ডের মধ্যে শীর্ষ ১০টি মোটরসাইকেল গ্রুপ বৈশ্বিক ইভি বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে। এ ১০টি প্রতিষ্ঠানগুলো সামগ্রিক বিক্রির তিন-চতুর্থাংশ হিস্যা অর্জন করেছে।

বাজারের গতিশীলতা নিয়ে রিসার্চ অ্যানালিস্ট অভিক মুখার্জি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ইভি বিক্রয় চীনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোট ইভি বিক্রয়ের ৫৬ শতাংশ এ বাজার থেকে এসেছে। জানুয়ারিতে চীনে নতুন ইভি কেনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভর্তুকি দেয়া হয়েছিল। এছাড়া টেসলা জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী গাড়ির মডেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়, ফলে অন্যান্য গাড়ি ব্র্যান্ডগুলো অক্টোবর থেকে তাদের মডেলের গাড়িতে অনুরূপ হ্রাসের ঘোষণা দেয়। এ ধরনের প্রতিযোগিতা ইভি বিক্রয় বাড়াবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। বিওয়াইডি, নিও, এক্সপেং, ফক্সওয়াগন, বিএমডব্লিউ, মার্সেডিজ-বেঞ্জ, নিসান, হোন্ডা ও টয়োটাসহ প্রায় ৪০টি অটোমোবাইলের দাম কয়েকশো ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলারে নেমে এসেছে। ফলে চীনা বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যযুদ্ধের দিকে পরিচালিত করে। 

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোট ইভি বিক্রিতে শীর্ষ ১০টি মডেলের ৩৭ শতাংশ ছিল প্যাসেঞ্জার ইভি। টেসলার ‘মডেল ওয়াই’ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মডেল। এর পরই টেসলা ‘মডেল ৩’ ও বিওয়াইডির ‘সং’। এছাড়া ‘মডেল ওয়াই’ প্রকল্পের আওতায় টেসলা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য অর্জন করেছে। এটি বিশ্বের সেরা ব্যক্তিগত গাড়ির মডেল হয়ে হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

বাজারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিনিয়র বিশ্লেষক সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘যদিও ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রচলিত অভ্যন্তরীণ জ্বালানি চালিত যানবাহন (আইসিই) বিক্রি স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ইভি বিক্রি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ফলে প্রচলিত যানবাহন থেকে ইভিতে দ্রুত রূপান্তর ঘটিয়েছে।’

কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের প্রাক্কলন বলছে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক ইভি বিক্রি ১ কোটি ৪৫ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইভি খাতে ভতুর্কি বা কর অনুদান চালু হওয়ার কারণে এ বছর ইভি বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন