ভারতীয়
হাইকমিশনের বহুল আলোচিত মাসিক প্রকাশনা ভারত বিচিত্রার একটি বিশেষ সংস্করণের মোড়ক
উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(৬ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত
এই আয়োজনে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে
বক্তৃতায় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও
ভারতবিষয়ক প্রচারের ক্ষেত্রে ভারতীয় হাইকমিশনের একটি অমূল্য মঞ্চ হিসেবে ভারত বিচিত্রার
গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি পত্রিকাটিকে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে বর্ণনা
করেন।
তিনি
ভারত বিচিত্রার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ
করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের ইতিহাস, সমাজ, সংস্কৃতিকে তুলে ধরছে ভারত বিচিত্রা। ৫০
বছর ধরে দুই দেশের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ককে ধারণ করছে।
অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন,
ভারত বিচিত্রা মানেই বেলাল চৌধুরীর কথা মনে পড়ে। বেলাল ভাই বহু লেখককে সেসময় একত্র
করেছিলেন। ভারত বিচিত্রা থাকায় আমি লেখক হিসেবে জায়গা পেয়েছি। আমার মতো মানুষের লেখাও
তিনি ছেপেছেন। একটি পত্রিকার ৫০ বছর টিকে থাকা অনেক বড় ব্যাপার।
বাংলা
একাডেমি চেয়ারম্যান ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, একটা পত্রিকা নিয়ে আয়োজন বিভিন্ন
প্রজন্মের কাছে দিগন্ত উন্মোচন করছে। পশ্চিম বাংলাসহ ভারতে লেখকদের লেখা আমরা এক মলাটে
পাই। এই দ্বীপশিখা থাকলে আমাদের লেখকদের সংযোগ আরো বাড়বে।
আয়োজনে
কবিতা পাঠ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা, ঝরনা রহমান ও ফারুক মাহমুদ।
বক্তব্য
পর্ব শেষে মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মাসিক ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার
মোড়ক উন্মোচন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, কবি নুরুল হুদা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি টোকন ঠাকুর, ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক নান্টু রায় প্রমুখ।