ঢাকা-চট্টগ্রামে বিস্ফোরণের জন্য সরকারের ব্যর্থতা দায়ী —মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ঢাকায় পরপর দুদিন দুটি বিস্ফোরণ এবং এতে হতাহতের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারি সংস্থাগুলো বিস্ফোরণ এড়ানোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী। গতকাল রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সময় দুটি স্থানে বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফিরাতও কামনা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রশ্ন বিস্ফোরণগুলো কেন ঘটছে? সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের দায়িত্ব সবকিছু সঠিকভাবে আছে কিনা তা দেখভাল করা। অর্থাৎ যেন বিস্ফোরণ না ঘটে, কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে বা দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া। সরকার তার এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলো যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণেই দেশে ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।

সময় পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট নিয়েও সরকারের প্রতি অভিযোগের তীর ছোড়েন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এই যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি করা, বিভেদ সৃষ্টি করা এটা সরকার সৃষ্টি করছে। আমরা মনে করি তারা অত্যন্ত অসৎ উদ্দেশ্যে করছে। পঞ্চগড়েও চরম একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুজন নিহত হয়েছে, দোকানপাটসহ বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকল কেন? সেখানে সমাবেশ করার অনুমতিই বা দেয়া হলো কেন বা পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন?

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম শুরু করেছে, দ্রব্যমূল্য যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, মানুষ যখন নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, মিছিল করছে, রাজনৈতিক দলগুলো যখন রাস্তায় নেমে এসেছে তখন শুধু জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য, দৃষ্টি অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায় সরকার। ঘটনার জন্য আমরা সম্পূর্ণ দায়ী করছি সরকারকে। তাদেরই জবাবদিহি করতে হবে এবং যারা দায়ী ঘটনার জন্য তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সময় গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, নুরে আলম শাহজালাল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন