রূপালী ব্যাংকের স্টক লভ্যাংশে কমিশনের সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য সুপারিশ করা শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে এর আগে ঘোষিত শতাংশ স্টক লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন জানিয়েছিল ব্যাংকটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রূপালী ব্যাংকের স্টক লভ্যাংশে সম্মতি জানিয়েছে কমিশন।

মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়। পরে নিয়ম অনুসারে সে লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন জানায় ব্যাংকটি। তবে কমিশন লভ্যাংশ অনুমোদনের আগে ব্যাংকটির কাছে নগদ লভ্যাংশ না দেয়ার যৌক্তিক কারণ জানতে চায়। বিষয়ে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় ঘোষিত স্টক লভ্যাংশে অসম্মতি জানায় বিএসইসি। পরে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শতাংশ স্টক লভ্যাংশের পরিবর্তে শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণের অনুমোদন দেন শেয়ারহোল্ডাররা। লভ্যাংশ বিতরণে অনুমোদন চাইলে তা প্রত্যাখ্যান করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে রূপালী ব্যাংক শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে শতাংশ স্টক লভ্যাংশের অনুমোদন চেয়ে পুনরায় বিএসইসির কাছে আবেদন জানায়।

১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কোনো নগদ লভ্যাংশ দেয়নি। প্রথমবারের মতো ব্যাংকটির এজিএমে শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন পাওয়ায় ব্যাংকটিকে লেনদেনের জন্য বি ক্যাটাগরির পরিবর্তে ক্যাটাগরিতে পাঠানো হয়েছে। চলতি বছরের ১০ আগস্ট থেকে ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু করেছে ব্যাংকটি।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৫ পয়সা। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৬৫ পয়সা বা ১৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ টাকা পয়সা।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী ব্যাংক। তার আগের হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি ব্যাংকটি। ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা। এছাড়া ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ২৪ শতাংশ স্টক, ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক এবং ২০১৫ হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি।

এদিকে চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংকটির সমন্বিত পুনর্মূল্যায়িত ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৯ পয়সা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকের ব্যাংকটির সমন্বিত পুনর্মূল্যায়িত ইপিএস হয়েছে পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত পুনর্মূল্যায়িত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ২৯ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন