
বিনিয়োগের বিপরীতে যাতে রিটার্ন আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের জিম্মাদারের দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। তিনি মঙ্গলবার রাতে ‘পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মসিউর রহমান বলেন, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের পর বর্তমানে আমাদের আরো বিনিয়োগ জোগাড় করতে হবে। বেসরকারি খাত থেকেই এ বিনিয়োগ আসতে হবে। অবকাঠামো খাতে পাবলিক খাত থেকে বিনিয়োগ জোগানের মাধ্যমে সহায়তা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত বেসরকারি খাত এ সুযোগগুলো গ্রহণ করে বিনিয়োগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে না। দেশের বন্ড মার্কেটকে আরো বিস্তৃত করার সুযোগ রয়েছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ইকুইটিকেন্দ্রিক এবং এখানে সবাই মূলধনি মুনাফাকে প্রাধান্য দেয়। মূলত কার্যকর বন্ড মার্কেট না থাকার কারণেই এ ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বন্ডের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মতো অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের সুযোগ রয়েছে। করপোরেট সুশাসনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি স্বচ্ছতার দিকটি নিশ্চিত করতে হবে। বন্ড মার্কেটে তারল্য সরবরাহ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিতে তিনি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) দুটি কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে চীনা বিনিয়োগকারীরা। বন্ড অর্থনীতির স্নায়ু হিসেবে কাজ করে। যদি বন্ডে বিনিয়োগের বিষয়টিকে এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে নিয়ে আসা হয় তাহলে এটি বিকশিত হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরকে ধন্যবাদ তিনি বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়া। সেমিনারে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য দেন গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের এমডি ও সিইও ফারজানা চৌধুরী।