শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাহিত করা হয়েছে সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে। গতকাল দুপুরে মহান একুশের অমর সংগীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’র রচয়িতার মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেয়া হয়।
সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষে তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে গুণী এ মানুষটিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পরে তাকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
ঢাকা ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), পরিচালনা পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম ও জাহাঙ্গীর চৌধুরী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা সাড়ে ৩টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গুণগ্রাহীরা অংশ নেন।
জানাজা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রয়াত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তাকে ‘বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান’ আখ্যায়িত করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পরে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে তার মরদেহ প্লেস ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রেস ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
১৯ মে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কলামিস্ট ও বর্ষীয়ান লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।