সংসদীয় কমিটির আলোচনা

সরকারি ছয় শেল্টার হোম জরাজীর্ণ, লোকবলের সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক

পঞ্চাশ ষাটের দশকে তৈরি করা হয় দেশের ছয়টি সরকারি শেল্টার হোম। সময়ের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ সহিংসতার শিকার কিশোরীদের শেল্টার হোম বা নিরাপদ আবাসনগুলো এখন জরাজীর্ণ; রয়েছে লোকবলস্বল্পতা। ফলে সরকারি এই শেল্টার হোমগুলো যথাযথ সেবা দিতে পারছে না। আবার হোমগুলোয় মানসিক প্রতিবন্ধীদেরও রাখা হয়। ফলে সাধারণ নিবাসীদের যথাযথ সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির আলোচনায় শেল্টার হোমের এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বৈঠকে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শেল্টার হোমের করুণ দশার কথা উল্লেখ করেছেন। কমিটির গত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকেও আলোচনা করে সংসদীয় কমিটি ঝুঁকিপূর্ণ সহিংসতার শিকার কিশোরীদের নিরাপদ আবাসনের (সেফ হোম/শেল্টার হোম) সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটি সদস্য বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, . কা. . সরওয়ার জাহান, আরমা দত্ত এবং শবনম জাহান অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান বৈঠকে অংশ নেন।

বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশে ছয়টি সরকারি শেল্টার হোম রয়েছে। এগুলো ময়মনসিংহের ত্রিশাল, নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল, ঢাকার মিরপুর, মানিকগঞ্জের বেথিলা এবং গাজীপুরের পুবাইল কাশিমপুরে অবস্থিত।

বৈঠকের কার্যবিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আগের বৈঠকে শেল্টার হোম নিয়ে সমাজকল্যাণ সচিব জানিয়েছিলেন ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি নিবাস কেন্দ্রে অনুমোদিত আসনের চেয়ে বেশি নিবাসী রয়েছে। লোকবলের স্বল্পতা ভবনের জরাজীর্ণতার জন্য সেখানে নিবাসীদের যথাযথ সেবা দেয়া যাচ্ছে না।

প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বেশির ভাগ শেল্টার হোম পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ। এর কোনোটিতে গার্ড নেই, কোনোটিতে নেই বাবুর্চি। সাধারণ নিবাসীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী মানসিক রোগী রাখা হচ্ছে, যা খুবই করুণ দৃশ্য। এসব শেল্টার হোমের যাবতীয় সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি।

কমিটির সভাপতি রাশেদ খানন মেনন তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে প্রবাসী পরিবারে যারা থাকেন তারা স্বামী বা আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। চাকরিজীবী নারীদের প্রতিও সহিংসতার প্রবণতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

সময়ে তিনি জরাজীর্ণ শেল্টার/সেফ হোমগুলোর জনবলসহ সমস্যাদি চিহ্নিত করে এর উন্নয়ন আধুনিকীকরণে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন