অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ, চলছে ভোটগ্রহণ

বণিক বার্তা অনলাইন

অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছে তার নির্ধারণে ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ।  আজ শনিবার  স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ২০১৯ সালের পর এটিই দেশটির প্রথম নির্বাচন। খবর বিবিসি।

এবারের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা স্কট মরিসন লড়ছেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বর্ষীয়ান রাজনীতিক লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবেনিজের বিরুদ্ধে। এবারের নির্বাচনে জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন, এ দুটি ইস্যুকে ভোটাররা প্রাধান্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে জনমত জরিপে দেখা গেছে, লেবার পার্টি এবার সামান্য ব্যবধানে জয় পাবে। যদিও গত নির্বাচনে করা জনমত জরিপগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছিল।

লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতা স্কট মরিসন হলেন জন হাওয়ার্ডের পর প্রথম নেতা, যিনি পূর্ণমেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১৯ সালের নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে জন হাওয়ার্ড চারবার নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন। 

এদিকে বিভিন্ন সমালোচনার মুখে চাপে রয়েছেন স্কট মরিসন। তার নিজের দলের সদস্য থেকে শুরু করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মরিসনের সমালোচনা করেন। মরিসন নিজেও স্বীকার করেছেন যে, তিনি জনপ্রিয় নেতা নন। মরিসন এও স্বীকার করেছেন যে, তিনি একজন ‘বুলডোজার’ হতে পারেন এবং একজন ‘আরও সংবেদনশীল’ নেতাও হতে পারতেন।

অন্যদিকে ২০১৯ সালে বিল শর্টনের পদত্যাগের পর থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মরিসনের প্রতিদ্বন্দ্বী আলবানিজ। তিনি বলেন, প্রায় এক দশক ধরে তিন জন ভিন্ন নেতার অধীনে ক্ষমতায় থাকা অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সরকার যথেষ্ট সময় পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ সরকার প্রায় এক দশক ক্ষমতায় ছিল। এ প্রধানমন্ত্রী চার বছর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি (মরিসন) বলছেন, তাকে ভোট দিলে তিনি পাল্টে যাবেন। ভালো কথা। আপনারা যদি পরিবর্তন চান, তবে সরকার পরিবর্তন করুন।

ভোটারদের কাছে ‘নিরাপদ পরিবর্তন’ নিয়ে আসার অঙ্গীকার করেছেন আলবানিজ। তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ নন। এছাড়া বেশ কিছু আসনে প্রভাবশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে দুই দলই।

এ বছর নির্বাচনে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তারা প্রতিনিধি পরিষদের সব আসন এবং সিনেটের অর্ধেকের বেশি আসনের জন্য পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচন করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন