গতকাল পুঁজিবাজারের দরপতনে বিদেশী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির প্রভাব ছিল লক্ষণীয়। এর মধ্যে তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের মাধ্যমেও শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও কাস্টডিয়ানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) কাছেও এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পুঁজিবাজারের দরপতনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে কমিশনের সার্ভিল্যান্স সিস্টেমে বেশকিছু বিও হিসাব খুঁজে পাওয়া যায় যেগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু কোন ব্রোকারেজ হাইজে এ বিও হিসাব খোলা হয়েছে সে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি সিডিবিএলের ডাটাবেজেও এসব বিও হিসাবের কোনো তথ্য ছিল না। পরবর্তী সময়ে অধিকতর অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি বিও হিসাব ২০১৮ সালেই বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এ বিও হিসাবের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে। বিও হিসাবটি ছিল ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের। আর কাস্টডিয়ান হিসেবে ছিল এইচএসবিসি ব্যাংক। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিও হিসাবের মাধ্যমে কীভাবে শেয়ার লেনদেন করা হয়েছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও কাস্টডিয়ানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করে গতকাল চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে বন্ধ থাকা বিও হিসাবের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা যায় কিনা এ বিষয়ে ডিএসই ও সিডিবিএলের কাছে জানতে চেয়েছে বিএসইসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ ও কাস্টডিয়ানের কাছ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। তাদের জবাব সন্তোষজনক না হলে এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।