মেজর সিনহা হত্যা মামলা

সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে যাবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ

বণিক বার্তা অনলাইন

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে। লাল কাপড়ে মুড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের এসব কাগজপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

গতকাল রায়ের পর সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

সিনহা হত্যা মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, সাধারণত কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হলে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলার রায় হওয়ার সাত দিনের মধ্যে সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি, সাক্ষী-প্রমাণাদিসহ কাগজপত্র লালসালু কাপড়ে মুড়িয়ে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। নিয়মানুযায়ী প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডাদেশের কপিও সেভাবে হাইকোর্টে যাবে।

কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির আদেশ হাইকোর্টকে অবহিত করতে হয়। তা না করা পর্যন্ত আদেশ কার্যকর হবে না। এছাড়া আসামিপক্ষ আপিল করতে পারে। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার এখতিয়ার সবার রয়েছে।

জানা গেছে, কনডেম সেলে থাকা প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে জেল কোড অনুযায়ী সুবিধা দেয়া হবে। কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত ও বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বেকসুর খালাস পাওয়া সাত জন হলেন- এপিবিএনের বরখাস্ত এসআই মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, বরখাস্ত সহকারী এএসআই লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়ার শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন