ভালো ব্যবসা করেছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিডের কারণে ২০২০-২১ হিসাব বছরে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেডের। তবে কভিড সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জনসমাগম বেড়ে যাওয়ার কারণে গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভালো ব্যবসা হয়েছে কোম্পানিটির। চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধ (জুলাই-ডিসেম্বর) দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে যথাক্রমে ১১৬ ১১৭ শতাংশ। পাঁচ তারকা ওয়েস্টিন দ্য হোটেল চার তারকা হানসা রেসিডেন্স থেকে আয় হয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের।

গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের পর্ষদ। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৫৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১২ পয়সা লোকসান হয়েছিল।

চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের আয় হয়েছে ৪০ কোটি ১২ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি পয়সা লোকসান হয়েছিল। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৭৮ পয়সা।

বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের কোম্পানি সচিব মো. শরীফ হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির মালিকানাধীন দ্য ওয়েস্টিন হানসা থেকে ভালো আয় হয়েছে। শুধু গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ওয়েস্টিন হোটেল একাই ২৩ কোটি টাকা আয় করেছে।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের পরিচালনা পর্ষদ। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত লোকসান হয়েছে ৩৩ পয়সা।

আগের হিসাব বছরে যেখানে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় ছিল ৮৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ২০২১ সালের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮২ টাকা পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)

এর আগের ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৯ কোটি ৪৪ লাখ। এর ৪৬ দশমিক শূন্য শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৫৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী বাকি ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন