বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায় ইরাক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ আরো বাড়াতে চায় ইরাক। লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন সময়োপযোগী করা প্রয়োজন। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে সাক্ষাত্কালে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুলসালাম সাদ্দাম মোহাইমসেন।

সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এজন্য উভয় দেশের সরকারি এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল সফর বিনিময় করা প্রয়োজন। ধরনের পদক্ষেপের ফলে বাণিজ্য বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ইরাকের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। এতে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সহজ এবং বেশকিছু আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ইরাক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।

ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আব্দুলসালাম সাদ্দাম মোহাইমসেন সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ইরাক বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। সাক্ষাত্কালে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন সময়োপযোগী করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ইরাক সফরের আমন্ত্রণ জানান।

উল্লেখ্য, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ইরাকে ৩৮ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে ইরাক থেকে কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। ইরাকের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, মেডিকেল পণ্য, পাটজাত পণ্য, হোম টেক্স এবং চামড়াজাত পণ্য রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন