গেটওয়েতে আটকে
থাকা ই-কমার্স গ্রাহকদের টাকা ফেরত ইস্যুতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামত চেয়েছে
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গঠিত কমিটি। মতামত পাওয়ার পর টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা
হবে।
আজ মঙ্গলবার
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ই-কমার্স ইস্যুতে গঠিত ১৫ সদস্যের কমিটির
তৃতীয় সভা হয়। সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক
এএইচএম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এএইচএম
সফিকুজ্জামান বলেন, এসক্রো সার্ভিসে (গেটওয়ে) ২১৪ কোটি টাকা আছে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সিআইডিকে চিঠি দিয়েছিলাম।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাঝখানে আরো একটি মিটিং হয়েছে। কেবিনেট
সেক্রেটারি (মন্ত্রিপরিষদ সচিব) টাকাটা কীভাবে ফেরত দেয় যায়, সে বিষয়ে একটা
মিটিং করেছে। সেখানে সিআইডিসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সেখানে যেটা আলোচনা হয়েছে, এই টাকার একটি বড় অংশ মামলা মোকাদ্দমার মধ্যে
আটকে আছে। সে বিষয়ে একটি লিগ্যাল ওপিনিয়ন (মতামত) দরকার। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের আইন বিভাগে লিগ্যাল ওপিনিয়ন
চেয়েছি। গতকালও এটি নিয়ে কথা বলেছি। এটি পেলে মামলা মোকাদ্দমার বাইরে যে টাকা
রয়েছে, সেটি আমরা ফেরত দেব।
আটকে থাকা টাকা
কবে নাগাদ ফেরত দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা ফ্রিজ করে রেখেছে সিআইডি। এ কারণেই টাকা আটকে
আছে। নইলে টাকা বের হয়ে যেত।
অতিরিক্ত সচিব আরো বলেন, এটার
সঙ্গে যেহেতু মামলা জড়িত আছে তাই আমরা সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ একসঙ্গে কাজ করেছি যে এ টাকা কীভাবে ফেরত দেয়া যায়। এটার জন্য দুই-একদিনের মধ্যে লিগ্যাল ওপিনিয়ন পেলে আমরা টাকা ছাড় করার ব্যবস্থা করব।
