মিরসরাইয়ে প্রধান শিক্ষক নেই ২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

শিক্ষা অফিসেরও ৭টি পদ শূন্য

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মিরসরাই

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় রয়েছে ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়কে নয়টি ক্লাস্টারে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক ক্লাস্টারে একজন করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের নিয়ম থাকলেও নয়টি ক্লাস্টারের জন্য রয়েছে মাত্র চারজন। সব মিলিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে সাতটি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২০টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। শুধু তা- নয়, সংকট রয়েছে সহকারী শিক্ষক, দপ্তরি কাম প্রহরী কম্পিউটার অপারেটরের।

মিরসরাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় রয়েছে ১৬টি ইউনিয়ন দুটি পৌরসভা। এদের মধ্যে বারইয়ারহাট পৌরসভায় কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ১৬টি ইউনিয়ন মিরসরাই পৌরসভায় ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নয়টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। ক্লাস্টারগুলো হলো করেরহাট, চিনকির আস্তানা, জোরারগঞ্জ, বামনসুন্দর, ঝুলনপুল, রঘুনাথপুর, মিরসরাই সদর, আবুতোরাব সরকারহাট। বিধি অনুসারে প্রত্যেকটি ক্লাস্টারে একজন করে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু মাত্র চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দিয়ে চলছে নয়টি ক্লাস্টারের কার্যক্রম। শুধু তাই নয়, উপজেলার ১৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ২০টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। রয়েছে অর্ধশত সহকারী শিক্ষক সংকট। শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার অপারেটরের তিনটি পদের মধ্যে দুটি শূন্য। পাঁচটি বিদ্যালয়ে নেই দপ্তরি কাম প্রহরী। অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

পশ্চিম অলিনগর আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার জানান, তাদের বিদ্যালয়ে ২১৪ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক মাত্র চারজন। তাই পাঠদানে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

করেরহাট ক্লাস্টারের অধীনে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, .টি.. (সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা) সংকট থাকায় ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র চারবার তাদের বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করা হয়েছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে চিনকির আস্তানা সরকারহাট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তোয়াব মজুমদার বলেন, আমি দুটি ক্লাস্টারের অধীনে ৫০টি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করি। এতগুলো বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান চৌধুরী বলেন, সংকট থাকায় চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নয়টি ক্লাস্টারের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া প্রায় ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তবে সংকট থাকলেও সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন