সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই তিন কোম্পানির শেয়ারে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে জুট স্পিনার্স লিমিটেড, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও আমান ফিড লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২০ জুন জুট স্পিনার্স শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৯৫ টাকা ১০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ সোমবার শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ১৪৬ টাকা ৭০ পয়সা। অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২০ জুন কোম্পানিটির মোট ১ হাজার ৪২৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৯ জুন যা ১০ হাজার ৮১১টি দাঁড়ায়। আর সর্বশেষ সোমবার কোম্পানিটির মোট ৮ হাজার ৮৩০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭৬ টাকা ৪০ পয়সা ও ১৮০ টাকা।
গত ২০ জুন জাহিনটেক্স শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৬ টাকা ৮০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ সোমবার শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা। অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২০ জুন কোম্পানিটির মোট ৪ লাখ ৭ হাজার ১৯১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ জুন যা ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮১টি দাঁড়ায়। আর সর্বশেষ সোমবার কোম্পানিটির মোট ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের বন্ধ থাকা কারখানায় ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি কোম্পানিটির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর কারখানাটিতে উৎপাদন বন্ধ ছিল। ১৭ জুলাই থেকে কারখানায় ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত কোম্পানিটির কারখানায় ২১ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা খুব দ্রুত পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কারখানাটির ব্লো রুম, কাডিং, ড্রইং, সিমপ্রেকতস অটো কোন, জেনারেটর, এসি প্লান্ট, স্টিল বিল্ডিং, শেড ও গুদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রায় চার ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ডিএসইতে সোমবার কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪ টাকা ৯০ পয়সা ও ১১ টাকা ৩০ পয়সা।
গত ৩০ জুন আমান ফিড শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ সোমবার শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৭০ টাকা ৩০ পয়সা। অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৩০ জুন কোম্পানিটির মোট ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬ জুলাই যা ৮১ লাখ ১৭ হাজার ১২৫টি দাঁড়ায়। আর সর্বশেষ সোমবার কোম্পানিটির মোট ১০ লাখ ৫৪ হাজার ৩৩০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) আমান ফিডের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ২১ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬১ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৯১ পয়সা।