সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ কমিটির এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ অনুরোধ জানান তিনি।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে এবং
তা বিচারাধীন, নিরাপরাধ হলে আদালতে সংশ্লিষ্ট
সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন। করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে এ বিষয়টি
নিয়ে যাতে জনমনে কোন ধরনের অস্থিরতা বা অসন্তোষ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমি
সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অনুরোধ করছি।
তিনি
বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন
তা থেকে সচিবালয়ের ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার মন্ত্রণালয়
সচিবের একান্ত সচিবের অনুপস্থিতিতে তার কক্ষে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও শিট
লুকিয়ে ফেলে এবং মোবাইলে ছবি তুলেছেন। এভাবে লুকিয়ে তথ্য সংগ্রহের
প্রয়োজন ছিল না। ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে
এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি নাও হতে পারত।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তিন
সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের উপর কোন অন্যায় আচরণ করা
হলে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়।
আওয়ামী
লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,
শেখ হাসিনা সরকার মতপ্রকাশের
স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট
উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,
যারা বলছেন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের
জন্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, এ
বক্তব্য আদৌ সত্য নয়।
দুর্নীতি
ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট ও কঠোর। বিএনপি
প্রতিটি ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে। কিন্তু সে অপচেষ্টা হালে পানি
পায় না।