বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ কমায় কাপড় বিক্রিতে ধস

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২০ সালে মহামারী সংশ্লিষ্ট লকডাউনে মানুষের সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা বেড়াতে যাওয়ার ঘটনাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নেমে আসে। যার প্রভাব পড়েছে জামাকাপড় বিক্রিতেও। বিশ্বব্যাপী হ্রাসের চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে। যেখানে বলা হচ্ছে, দেশটিতে কাপড় বিক্রি গত বছর ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা কিনা গত ২৩ বছরের মাঝে সর্বোচ্চ পতন। খবর বিবিসি।

দোকানগুলোর দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু জামা যেমন পায়জামা লাউঞ্জওয়্যারের বিক্রি বাড়লেও বাইরে পরে যাওয়া পণ্যগুলোর বিক্রি ভয়াবহভাবে হ্রাস পেয়েছে। ডিসেম্বরে অবশ্য ক্রিসমাসকে ঘিরে কাপড় বিক্রি কিছুটা বেড়েছিল, কিন্তু তার পরও সেটি মহামারী-পূর্ব অবস্থার তুলনায় নিচেই ছিল।

অফিস ফর ন্যাশনাল স্টাটিস্টিকসের (ওএনএস) পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউনের সময় সামাজিক যোগাযোগে খুব সামান্য সুযোগই বিদ্যমান ছিল এবং প্রচুর মানুষ বাসায় বসে অফিসের কাজ সম্পন্ন করেছে। যে কারণে বিধিনিষেধ দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাতটি।

লকডাউনের সময় সাময়িকভাবে দোকান বন্ধ করে রাখার কারণে বাণিজ্যিক এলাকার প্রচুর দোকান অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। টপশপ বিক্রেতা আর্কাডিয়া, দেবেনহামস, এডিনবরা, উলেন মিল গ্রুপ, ওয়াসিস এবং ওয়্যারহাউজ সবাই লকডাউনের পর থেকে আর্থিক সংকটে পতিত হয়েছে। একদিকে সরাসারি দেখে কাপড় কেনার সুযোগ সংকুচিত হওয়া এবং বাইরে খেতে যাওয়া অন্য অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়াও হ্রাসের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। ফ্যাশন পণ্যের পতনের কারণে ব্রিটিশ রিটেইল বিক্রিতেও রেকর্ড ধস দেখা গেছে।

সব মিলিয়ে পরিসংখ্যান বলছে গত ১২ মাসে কাপড় বিক্রেতাদের ব্যাপকভাবে দুঃসময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। সংকটকালীন সময়টিতে কাপড় কিনতে যাওয়ার আনন্দ এবং ট্রায়ালের মাধ্যমে কাপড় বাছাই করার যে অভ্যাস, তা- তেমন কোথাও দেখা যায়নি। এছাড়া ক্রেতাদের অর্থনৈতিকভাবে অধিক সচেতন হওয়ার বিষয়ও এখানে অন্তর্ভুক্ত ছিল। পাশাপাশি যারা কেনাকাটা অব্যাহত রেখেছেন তারা মূলত অনলাইনের ওপরই অধিক নির্ভর করেছেন। কিন্তু সেটিও খুব বেশি ছিল না। ফলে বছর শেষে রেকর্ড পতন অনেকটা অবধারিত ছিল। এখন নতুন বছরে জামাকাপড়ের বেচাকেনার ব্যবসা কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটিই দেখার অপেক্ষা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন