বেনাপোল স্থলবন্দর

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের বিক্ষোভে আমদানি-রফতানি বন্ধ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

বেনাপোল বন্দরে চোরাচালানে সহযোগিতার অভিযোগে কাস্টমস কর্তৃক লাঞ্ছিত, কার্ড বাতিল মামলা প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা। তাদের বিক্ষোভের জেরে বন্দরে আমদানি-রফতানি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তবে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল। গতকাল বেলা ১টা থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে কাস্টমস কার্গো শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন স্টাফ সদস্যরা।

ভুক্তভোগী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, বুধবার রাতে কয়লার ট্রাকটি যখন ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন আমি বর্ডারের কার্গো শাখা থেকে ওই পণ্যের ম্যানুফ্যাকচার নাম্বার ইনভয়েস তুলে বাড়িতে চলে আসি। পরবর্তী সময়ে রাতে কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাকে ফোন করে বন্দরের ট্রাক টার্মিনালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখি, একটি ট্রাক থেকে ফেনসিডিল আমি যে ট্রাকের কাগজপত্র তুলি সেটি থেকে ওষুধ উদ্ধার করে। সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা আমার কাছ থেকে কাস্টমস কার্ডটি নিয়ে নেন। পরে ট্রাক আমাকে নিয়ে কাস্টম হাউজে আসেন। তারা একটা কাগজে আমার সই নিয়ে কাস্টমস কার্ড সিজ করে নিয়ে রাত ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেন। বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার (এডি) ডা. নিয়ামুল ইসলাম জানান, গোপন সূত্রে জানতে পারি ভারতীয় বৈধ আমদানি পণ্যের সঙ্গে কিছু অবৈধ মালামাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পরে বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সময় ভারতীয় তুলার ট্রাক থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল কয়লার ট্রাক থেকে কিছু ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার করি। কয়লার ট্রাকের বর্ডারম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তারকে আটক করে তার কার্ড সিজ করে নেয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতা-কর্মীরা আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, ঘটনায় নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।

সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, অপরাধ করবে ভারতীয় ট্রাকচালক, আর তার দোষ পড়বে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের ওপর। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের কর্মবিরতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এদিকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় বন্দরের দুই পারে শত শত ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প-কলকারখানার কাঁচামালসহ খাদ্যসামগ্রী। যদি দ্রুত ট্রাক থেকে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা না হয় তবে লোকসানে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন