মাঠপ্রশাসন থেকে সঠিক তথ্য আসছে না, অভিযোগ সংসদীয় কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাঠ প্রশাসন থেকে সরকারকে সঠিক তথ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। বৈঠকে বলা হয়, অসম্পূর্ণ বা ত্রুটিপূর্ণ তথ্যর কারণে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।  ভবিষ্যতে মাঠ প্রশাসন থেকে ভুল তথ্য যাতে না আসে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. মামুনুর রশীদ কিরন, আনোয়ারুল আবেদীন খান এবং হোসনে আরা বৈঠকে অংশ নেন।

সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারের বিব্রতকর অবস্থা রোধে মাঠ পর্যায় থেকে ভুল তথ্য যেন প্রদান না করা হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

তবে কমিটির আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

বৈঠক উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে চালু ও আলুসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গটি তুললে অন্যরাও সেটি নিয়ে কথা বলেন।

বৈঠকে বলা হয়, মাঠ প্রশাসনের তথ্য নিয়ে আগে বলা বলা হয়েছে ধানচালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। কিন্তু তাহলে কেন এখন চালের দাম বাড়ছে। সরকারকে কেন চাল আমদানি করতে হচ্ছে। এর অর্থ আগের তথ্য সঠিক ছিল না। মাঠ থেকে আগে সঠিক তথ্য দিলে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিতে পারতো। এখন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। মহামারীর কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকার পরও কেন আলুর দাম বেড়েছে সেটি নিয়েও কমিটির বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

বৈঠকে পারিবারিক পুষ্টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।  বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত ৩০টি করে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওতায় কৃষক পরিবারদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ১৬ ধরনের সবজির উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের কোন বাগানের তথ্য কমিটির সদস্যরা জানেন না বলে বৈঠকে অভিযোগ তোলেন।

পরে পারিবারিক পুষ্টি প্রকল্পসহ উন্নয়ন নির্ভর প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে ভূগর্ভস্থ পানির কম ব্যবহার ও উৎপাদন সময় কম প্রয়োজন হয় এমন উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং সঠিক সময়ে বোরোর সেচ প্রদানে পরিকল্পনা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন