দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়ি পেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনায় আটক আসাদুল হক ও জাহাঙ্গীর হোসেন দুজনেই যুবলীগের নেতা।
ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাতের প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল হক ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। সম্প্রতি ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কিছুদিন আগে পৌর মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলনের উপর হামলা চালিয়েছিলেন তারা। ওই মামলার আসামি তারা।
এছাড়া চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু অভিযোগ এনে জেলা যুবলীগের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়।
এদের দুজনকেই আজ ভোরে হিলি ও ঘোড়াঘাট থেকে আটক করা হয়। বর্তমানে রংপুর র্যাব কার্যালয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে আটক নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশের বাড়িও ঘোড়াঘাট উপজেলায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আসাদুলের বাবা একজন জুতার দোকানি। আসাদুল ওসমানপুরে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করতেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নিরূপ সাহা জানান, জাহাঙ্গীর হোসেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে জেলা যুবলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং রংপুর র্যাবের একটি দল যৌথভাবে আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে। ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত সে-ই করেছে।