গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দি এক কয়েদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কৌশলে কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় কারাগারের প্রধান কারারক্ষীসহ ছয় কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
নিখোঁজ ওই কয়েদির নাম আবু বকর সিদ্দিক। তার বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুরে। তিনি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার মো. বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় মামলা করেছেন।
কারা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপ করতে গিয়ে ওই কয়েদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও গতকাল বিকাল পর্যন্ত ওই কয়েদিকে কারাগারের ভেতরে কোথাও পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কারাগারের ১৮ ফুট উচ্চতার সীমানা প্রাচীর টপকে ওই কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় কারাগারের প্রধান কারারক্ষী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও চার কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরো ছয় কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত আইজি প্রিজনস কর্নেল আরবার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কারা সূত্র আরো জানায়, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও আবু বকর সিদ্দিক আত্মগোপন করে ছিলেন। তখন তিনি সেল এলাকায় সেফটি ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন তাকে একটি ট্যাংকির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার থেকে তাকে আবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কারাগারটি বড় হওয়ায় কারাগারের কোথাও তিনি লুকিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রথমে ধারণা করা হয়। কিন্তু গতকাল বিকালেও তাকে কারাগারে খুঁজে না পেয়ে কোনাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।