লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস, দায়িত্ব পালনের শততম দিনে আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম‌ন্বিত প্রয়াস এবং ঐকমত্য ব্যতীত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তার দায়িত্ব পালনের শততম দিনে জনগণের পুলিশ বিনির্মাণের পথে অগ্রগতি সম্পর্কে শনিবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কৃষ্ণচূড়া সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে আইজিপি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্যবিহীন কোন প্রতিষ্ঠান সম্মুখের পানে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা বর্তমানে ২০২০ সালে আছি। আগামী ৫, ১০, ৫০ ও ১০০ বছর পরে পু‌লি‌শিং কেমন হ‌তে পা‌রে তা বি‌বেচনায় রে‌খে বর্তমা‌নের পু‌লি‌শিংকে ঢে‌লে সাজা‌তে হ‌বে। এ সকল বিষয়া‌দি মাথায় নি‌য়েই ‌বিগত একশত দি‌নে বি‌ভিন্ন স্বল্প এবং দীর্ঘ‌মেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ক‌রে তা অর্জ‌নের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে।

তিনি ব‌লেন, মাদক, দুর্নী‌তি  ও নিপীড়‌নের বিরু‌দ্ধে ক‌ঠোর অবস্থান গ্রহ‌ণ, পু‌লিশ সদস্যদের কল্যাণ ও শৃঙ্খলার বিষ‌য়ে অধিকতর ম‌নো‌যোগ প্রদান এবং জনগ‌ণের দোর‌গোঁড়ায় পু‌লিশ‌কে নি‌য়ে যে‌তে বিট পু‌লি‌শিং সেবা বেগবান করার মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জ‌নে গুরুত্বপূর্ণ ভূ‌মিকা রাখ‌বে বাংলা‌দেশ পু‌লিশ।

আইজিপি বলেন, পরিবর্তন করতে হলে আমাদের সকলকে মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। এ পরিবর্তন হতে হবে অর্থবহ পরিবর্তন। এর ফলে দেশ উপকৃত হবে, জনগণ উপকৃত হবে।

পুলিশ প্রধান বলেন, গত ১০০ দিনে আমরা অনেক টার্গেট ফিক্সড করেছি। এ টার্গেট অর্জন করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিগত ১০০ দিনে গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্তকরণ, গোয়েন্দা তথ্যনির্ভর শিল্প পুলিশ গড়ে তোলা, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ভবন নির্মাণ,  এপিবিএন এবং এসপিবিএন এর জন্য আলাদাভাবে জনবল নিয়োগ, সিআইডিতে ডিএনএ ডাটাবেজ ব্যাংক স্থাপন, যৌক্তিক দূরত্বে হাইওয়ে পুলিশ স্টেশন এবং আউটপোস্ট স্থাপন, নৌ পুলিশের আউটপোস্ট স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, সুন্দরবনে নৌ পুলিশের চারটি ক্যাম্প স্থাপন, পিবিআই কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিতকরণ, পুলিশ মেডিকেল সার্ভিসেস গঠনের প্রস্তাবকরণ,  ঢাকা ডিভিশনাল পুলিশ হাসপাতাল স্থাপন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণতকরণ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন।

এছাড়াও পুলিশ অফিসারদের জন্য মাসিক পারফরমেন্স রিপোর্ট চালুকরণ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আধুনিক ডিজিটালাইজড কন্ট্রোল রুম স্থাপন, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পুলিশের পূর্ত কাজের পলিসি গাইডলাইন প্রণয়ন, দায়িত্ব পালনকালে স্মল আর্মস  ব্যবহার প্রবর্তন,  সকল পর্যায়ের অফিসার এবং ফোর্সের জনু রিফ্রেশমেন্ট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, বরিশাল জামালপুর এবং গোপালগঞ্জে তিনটি নতুন ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন, এর মধ্যে গোপালগঞ্জে হবে নারীদের ট্রেনিং সেন্টার, আটটি বিভাগীয় শহরে পুলিশের সন্তানদের জন্য আটটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ ইত্যাদি কার্যক্রমও রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন