শেকৃবির সেমিনারে বক্তারা

চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরে দেশে চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টন। কৃষকের পরিশ্রম নীতিসহায়তার কারণে কয়েক বছরে চাল উৎপাদন বেড়েছে। উদ্বৃত্ত উৎপাদনের কারণে কৃষক এখনো ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে চাল আমদানি করা হবে আত্মঘাতী। চাল আমদানি করা হলে কৃষক আগামীতে ধান উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন। গতকাল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) নাগরিক প্লাটফর্ম আগামীর বাংলাদেশ আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন করোনাকালে খাদ্যনিরাপত্তা শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী-কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। শেকৃবির সহযোগী অধ্যাপক . রঞ্জন রয় সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে সূচনা বক্তব্য রাখেন শেকৃবির সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অর্থনীতিবিদ ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য . জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, আমি দেখেছি গ্রামে চালের দাম খুব বেশি বাড়েনি। আবার শহরে চালের দাম এখনো একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কার স্বার্থে চাল আমদানি করা হচ্ছে? চাল আমদানি করা হলে বিদেশী কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে। অথচ যে কৃষক কঠোর পরিশ্রম করে ধান উৎপাদন করলেন, তাকে তো নিরুৎসাহিত করা হবে। তাই সিদ্ধান্ত কৃষকের স্বার্থে বাতিল করতে হবে। চাল আমদানির কোনো যৌক্তিকতা নেই। সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন