প্রণোদনা প্যাকেজে ‘অসহযোগী’ ব্যাংকগুলো থেকে আমানত প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ানো ব্যাংকগুলো থেকে সরকারি আমানত প্রত্যাহারের (ডিপোজিট উথড্র) প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। একই সঙ্গে যেসব ব্যাংক প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে তাদের সরকারি আমানত (ডিপোজিট) বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং নতুন উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকার ঘোষিত প্রণোদন প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য এফবিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, ‘সরকারের কাছে আমাদের প্রস্তাবনা সকল স্টেকহোল্ডারস বেটারমেন্টকে বিবেচনায় নিয়ে করা হবে। তবে কোন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি কিংবা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের সুপারিশ এফবিসিসিআই করবে না।’

আজ শনিবার প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি জানান সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘প্রণোদনার বিষয়ে একটি শ্রেণি বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বাধা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধান নিশ্চয়ই আছে। যেসব ব্যাংক মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, ওনাদের সরকারি ডিপোজিট বৃদ্ধি করা আর যে সকল ব্যাংক মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, উনাদের সরকারি ডিপোজিট উইথড্র করার প্রস্তাব করছে এফবিসিসিআই।’

প্রণোদনা বিষয়টা নতুন তাই বাস্তবায়নে একটু সময়ও লাগছে জানিয়ে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘এফবিসিসিআই ব্যাংকার্স ও জামালপুর, ফরিদপুর, মৌলভীবাজার এবং নরসিংদী চেম্বার্স এবং সেক্টরাল কাউন্সিল মিটিংগুলোয় কিছু সাড়া পাচ্ছে। ব্যাংকিং প্রফেশনালস জানেন সহযোগিতার হাত কী করে বাড়াতে হবে। এফবিসিসিআই প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার অনুরোধ করে আসছে। ব্যাংকের বিনিয়োগ সুরক্ষিত হয় সেই লক্ষ্যে এফবিসিসিআই-এর সহযোগিতার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার জানে কোন ট্যুলস-এ সাপোর্ট দিবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওনার টিম ১৬ কোটি মানুষের পাশে আছে এবং সামনে আরও সহজীকরণ প্রক্রিয়া চলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

প্রণোদনা বাস্তবায়নে ব্যাংকদের কোন বিষয়ে যৌক্তিক সমাধান প্রয়োজন হলে তা সমাধানে এফবিসিসিআই সহায়তা করবে জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি বলেন, ‘ব্যাংক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও এফবিসিসিআই-এর মেম্বার। সরকারের কাছে আমাদের প্রস্তাবনা, সব স্টেকহোল্ডারস বেটারমেন্টকে বিবেচনায় নিয়ে করা হবে। কোন উইলফুল ডিফল্টার অ্যান্ড অর ফাইন্যানশিয়াল স্ক্যামার দের সুপারিশ এফবিসিসিআই করবে না। প্রণোদনা বাস্তবায়ন বাংলাদেশ ইনফরমাল ইকনোমির ৮৪ পার্সেন্ট ফরমাল ইকনোমিতে আনার একটা অপারচুনিটি। জাতীয় স্বার্থে, ২০২৩ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও এবং বেসরকারি খাতে এসডিজি অবদান মূল্যায়নে স্টিমুলাস বাস্তবায়নে একটি জাতীয় গেম চেঞ্জার হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন