জানুয়ারি-মে

চীনের চাল রফতানি এক-চতুর্থাংশ বাড়িয়েছে কম্বোডিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার রফতানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম চাল। দেশটির রফতানিকারকরা চীনের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি করেন। দেশটি থেকে রফতানি হওয়া চালের ৩৮ শতাংশের গন্তব্য চীন। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) চীনের বাজারে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ বাড়িয়েছেন কম্বোডিয়ার রফতানিকারকরা। কম্বোডিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর কম্বোডিয়ান পোস্ট বিজনেস রেকর্ডার।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে কম্বোডিয়া থেকে চীনের বাজারে সব মিলিয়ে লাখ ৩৬ হাজার ৮২৫ টন চাল রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম্বোডিয়া থেকে চীনে খাদ্যপণ্যটির রফতানি এক-চতুর্থাংশ বা ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর ধাক্কা খেয়েছে কম্বোডিয়াও। সময় জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল রফতানি সাময়িক বন্ধ রেখেছিল দেশটি। এর পরও বছরের প্রথম পাঁচ মাসে শীর্ষ ক্রেতা দেশ চীনে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক-চতুর্থাংশ বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, কম্বোডিয়ার চাল রফতানি খাতে পুরনো বিশ্বস্ত ক্রেতা চীন। মহামারীর ধাক্কা সামলে চীনে চাল রফতানিতে প্রবৃদ্ধি খাতের টেকসই অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মে সময়ে কম্বোডিয়া থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোয় সব মিলিয়ে লাখ ২২ হাজার ১০ টন চাল রফতানি হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কম্বোডিয়া থেকে ইউরোপে খাদ্যপণ্যটির রফতানি ৫১ শতাংশ বেড়েছে।

কম্বোডিয়া বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে কম্বোডিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি চাল রফতানি হয়েছে। সময় দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৪ লাখ টন চাল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন