কভিড-১৯

আজও ৩৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত আরো ২৬৯৫

বণিক বার্তা অনলাইন

দেশে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরো দুই হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মহামারী ভাইরাসটিতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫ হাজার ১৪০ জন। একই সময়ে গতকালের মতো আজও দেশে মহামারী ভাইরাসটিতে প্রাণ গেছে ৩৭ জনের। দেশে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ দুই হাজার ৯১১ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদিন মারাও যান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ জন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি। এর আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় গত ৩১ মে। সেদিন দেশে সর্বোচ্চ ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে এ করোনা সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ৭৪৬।

আজ বুধবার (৩ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

দেশে পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে ৫০টি ল্যাবের পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৫ হাজার ১০৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের দিনের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৫১০টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষা দাঁড়াল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩টিতে।

গতকালের চেয়ে দুটি ল্যাব কমেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরীক্ষাগারটি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা বিশেষ কারণে সেখানে আর কার্যক্রম (নমুনা পরীক্ষা) চালাবেন না। তাই এখন থেকে সেই পরীক্ষাগারটির হিসাব আর আমাদের কাছে থাকবে না। এছাড়াও জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারের মেশিনটি কারিগরি কারণে বন্ধ রয়েছে। তা কারিগরি সমস্যা সাড়িয়ে সেখানে আবার কার্যক্রম শুরু হলে সেটার রিপোর্ট আপনাদের জানাবো।

তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৪৭০ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৫৯০ জন।

গেল ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ পুরুষ এবং নয়জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের চারজন।

মৃত ৩৭ জনের বিভাগ ভিত্তিক বিশ্লেষণে নাসিমা সুলতানা ৩৬ জনের কথা উল্লেখ করেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১৯ জন, চট্টগ্রামের বিভাগের ১৩ জন, সিলেটে একজন, রংপুরে দুজন এবং খুলনা বিভাগে একজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩১ জন, বাড়িতে মারা গেছেন পাঁচজন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন। 

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬১ লাখের বেশি। আর মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়ে খুব দ্রুত। সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করার পর আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন