যমুনায় নৌকাডুবি: আরো ৪ মরদেহ উদ্ধার

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, এখনো নিখোঁজ ১০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার স্থলচরে যমুনায় ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় খাসকাউলিয়া আজিমুদ্দি মোড় ও ঘুসুরিয়া থেকে আরো চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজিমুদ্দি মোড় এলাকা থেকে দুজন, স্থলচর একজন ও ঘুসুরিয়া একজনের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, বাকি নিখোঁজ যাত্রীদেরও সলিল সমাধি হয়েছে। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনো ১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ৫৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
 
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে প্রচন্ড বাতাসের কবলে পড়ে। তখন ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি যমুনায় ডুবে যায়। স্থানীয়রা ৫৪ জনকে জীবিত ও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৩ জনের মরদেহ স্থল চর, একজনের জোতপাড়া ও আরেক জনের মরদেহ কুকুরিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃতরা হলো বেলকুচির গয়নাকান্দি গ্রামের মৃত জহির ফকিরের ছেলে পাষান ফকির (৬৫), কলাগাছির শামীম হোসেনের ছেলে নাইম হোসেন (৪), শাহজাদপুরের কৈজুরীর জয়পুরার আমজাদ হোসেন (৪৫) ও আজিজুল হক (৩৫)।

এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছে, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবী মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিল। নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলায় এই নৌকাডুবির জন্যও অনেকটা দায়ী।

এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ গভীর শোক প্রকাশ করে জানান, ঈদের পরে এমন ঘটনায় পুরো জেলাবাসী শোকাহত। 
তিনি আরও জানান, নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে দাফন কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। আহতদের সহায়তা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রযেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন