প্রথম প্রান্তিক

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসির আয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসির আয় আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেড়ে ৪৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে গ্রুপটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আলোচ্য সময়ে আগের তুলনায় শতাংশ কমেছে। অবশ্য কভিড-১৯-এর এই সময়ে গ্রাহকদের সহায়তা দিতে গ্রুপের যথেষ্ট পরিমাণ মূলধন এবং তারল্য রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসির ব্যয় আগের তুলনায় শতাংশ কমে ২৪০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। নিট ইন্টারেস্ট মার্জিন ২০১৯-এর চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় শতাংশ কমেছে। কভিড-১৯-এর দ্রুত বিস্তারের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাবের ফলে গ্রুপটির ঋণ মন্দার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

অন্যদিকে রিটার্ন অন ট্যানজিবেল ইকুইটি দাঁড়িয়েছে দশমিক শতাংশে, যা আগের তুলনায় ১০০ শতাংশ কম। সঞ্চিতি সংরক্ষণের আগে গ্রুপটির পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ৪১ শতাংশ বেড়ে ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর কর-পূর্ববর্তী মুনাফা হয়েছে ১২০ কোটি ডলার, যা আগের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে কর-পূর্ববর্তী সংবিধিবদ্ধ মুনাফা ২৯ শতাংশ কমে ৯০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গ্রুপটির ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ আগের তুলনায় শতাংশ বা কোটি ডলার বেড়ে বর্তমানে ২৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা কভিড-১৯-এর সময়ে গ্রাহকদের সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা বাড়াবে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসির লিকুইডিটি কাভারেজ রেশিও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও স্থিতিশীল রয়েছে। আলোচ্য প্রান্তিকে লিকুইডিটি কাভারেজ রেশিও হয়েছে ১৪২ শতাংশ, যা ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ছিল ১৪৪ শতাংশ। হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ঘূর্ণায়মান তহবিল থেকে ৫০০ কোটি ডলার ব্যবহার করা হয়েছে। এপ্রিলে তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলনের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আলোচ্য সময়ে গ্রুপটির ইপিএস দশমিক সেন্ট বা শতাংশ কমে ২৫ দশমিক সেন্টে দাঁড়িয়েছে। সময়ে গ্রুপটি কোটি শেয়ার বাইব্যাক করেছে, যা ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাতিল করা হয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসির প্রধান নির্বাহী বিল উইন্টারস ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রুপটির পারফরম্যান্স সম্পর্কে বলেন, কভিড-১৯-এর বিস্তার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোকে আরো দৃঢ়ভাবে সামনে আনছে। অবস্থায় আমাদের সহকর্মীরা তাদের গ্রাহকদের পাশে থেকে দারুণভাবে সাড়া দিচ্ছে। যদিও আমানতের ক্ষেত্রে চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যয়ের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখার ফলে আমরা প্রথম ত্রৈমাসিকে শতাংশ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কাজের ক্ষেত্রে ব্যক্তি এবং সম্মিলিতভাবে আমাদের মূল চেতনা হেয়ার ফর গুড-এর প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করি এবং বিশ্বব্যাপী আমাদের ৯১ হাজার সহকর্মী যেভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছেন, তাতে আমি গর্বিত।

কভিড-১৯- ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে ৫৯টি দেশে আমাদের অন্যান্য উদ্যোগের পাশাপাশি সহকর্মী ব্যাংকের অনুদানের মাধ্যমে কভিড-১৯- ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোটি ডলারের বৈশ্বিক তহবিল চালু করা হয়েছে। তাছাড়া যেসব কোম্পানি মহামারী প্রতিরোধে পণ্য সেবা প্রদান করছে, তাদের আমরা ১০০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তাছাড়া চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমরা আমাদের সব গ্রাহককে সহায়তা দিচ্ছি। অর্থবহ পরিবর্তন আনতে বাস্তবমুখী কার্যকর উপায় নিয়ে আমাদের ভাবনা চলমান থাকবে। স্বতন্ত্রতা সুরক্ষিত ভিত্তি গড়ে তুলতে আমরা ২০১৫ সাল থেকে যে কাজ করেছি, তাতে আমি আত্মবিশ্বাসী আমরা সংকট মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে পারব।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন