ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৪ দলের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে। এতে অনেক ছোট ব্যবসা লাইফ সাপোর্টে যাবে। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কোনোভাবে আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে সহায়তা করা যায় কিনা, তা সদয় বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিতে অর্থমন্ত্রীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিশ্বব্যাপী এই মহাদুর্যোগের সময় আমাদের জাতিগতভাবে নিজস্ব শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তার পরও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা, আমাদের সেই আবেদন থাকবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

সাবেক স্বাস্থ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি করোনায় গার্মেন্টস সেক্টরে ক্ষতিপূরণের স্বার্থে হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যা স্বল্প সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া হবে। যেহেতু তাদের অনেক বিদেশী অর্ডার স্থগিত কিংবা বাতিল হয়েছে, তাই তারা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে দেশে হাজার হাজার ছোট দোকানদার নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দোকান বন্ধ রেখেছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন জামা-কাপড়, ইলেকট্রনিকস, বুটিকসসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায় জড়িতরা, যাদের ব্যবসার আয়ের ওপর শুধু মালিক নয় কর্মচারীদের জীবিকাও নির্ভরশীল, তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। দেশে বুটিকস শিল্প খুবই জনপ্রিয়। এর সঙ্গে তাঁত শিল্পের ভাগ্য জড়িত। কাজটি তারা বন্ধ রেখেছে। ব্যবসা সেভাবে চালাতে পারছে না। এমনকি এবার পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গেছে। নববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। আসন্ন ঈদে দোকানদারদের ব্যবস্থাও অনিশ্চিত। তাই এদের বিশেষ অর্থনৈতিক প্রণোদনা না দিলে হাজার হাজার দোকান মালিক কর্মচারীসহ লাখ লাখ শ্রমিক প্রচণ্ড দুঃসময়ের সম্মুখীন হবেন।

মো. নাসিম আরো বলেন, দেশে হাঁস-মুরগি গরুর খামার গড়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে অর্থনীতিতে বিরাট বিকাশ ঘটেছে। এরাও আজ প্রচণ্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খামারিদের দুধের দামও কমে গেছে। বিষয়টি নিশ্চয় আমার দেশের সফল, মমতাময়ী জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে রয়েছে। এই শ্রেণীর মানুষের দুঃখ-কষ্ট প্রধানমন্ত্রী অনুধাবন করে থাকেন। তাই দুর্যোগকালে বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রণোদনার বিষয়টি নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন। ১৪ দলের পক্ষ থেকে এটা আমাদের অনুরোধ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন