স্বর্ণ ও হীরার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। গতকাল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি এনামুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, সাবেক সভাপতি এমএ ওয়াদুদ খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন, কোষাধ্যক্ষ পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, সহসম্পাদক মো. রিপনুল হাসান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জুয়েলারি শিল্পের সম্ভাবনা ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় সমিতির নেতারা বলেন, সরকার জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে ‘স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। এ নীতিমালার ৫ নং অনুচ্ছেদে স্বর্ণের মান প্রণয়ন, যাচাই ও নিয়ন্ত্রণের জন্য হলমার্ক পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। স্বর্ণ ও হীরার হলমার্কিংয়ের উপযুক্ত ল্যাব না থাকায় ক্রেতা-ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তারা স্বর্ণ ও হীরার তৈরি অলংকারের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে দ্রুত একটি নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা দেশীয় জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে স্বর্ণের বার আমদানি শুল্ক পুনর্নির্ধারণ এবং বন্ড সুবিধা সহজীকরণের জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ভোক্তা পর্যায়ে মানসম্মত গহনা নিশ্চিত করতে স্বর্ণ ও হীরা নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হবে। শিল্পমন্ত্রী বলেন, জুয়েলারি শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। বর্তমান সরকার দেশীয় শিল্প বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এ শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে স্বর্ণ ও হীরার তৈরি জুয়েলারির গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এসব জুয়েলারির হলমার্কিংয়ের জন্য ল্যাবরেটরি সুবিধা সৃষ্টিতে বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।