পূর্বাভাসের চেয়ে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধির দিকে থাইল্যান্ড

বণিক বার্তা ডেস্ক

পূর্বাভাসের চেয়ে শ্লথগতির প্রবৃদ্ধির দিকে এগোচ্ছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি মিটিং শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তে এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের (বিওটি) ওই পলিসি মিটিংয়ে সুদহার রেকর্ড সর্বনিম্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। খবর রয়টার্স।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, সরকারি ব্যয়ে বিলম্ব এবং তীব্রতর হওয়া খরায় ঝুঁকি বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ ফেব্রুয়ারির পলিসি মিটিংয়ের ওপর বুধবার প্রকাশিত বিবৃতিতে এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে।

সর্বশেষ ওই পলিসি মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সুদহার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় মানিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি) গত ছয় মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সুদহার কমাল থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিবৃতিতে বলা হয়, কমিটি মনে করছে সমন্বয়মূলক মুদ্রানীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের রেশ কমানো যাবে। যথাযথ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত থাকবে এমপিসি।

নমুরার বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চীনের ওপর বড় আকারে নির্ভরশীল হংকংয়ের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। চীনা বাণিজ্য এবং চীনা পর্যটকদের ওপর বড় আকারে নির্ভরশীল থাইল্যান্ড। চীনের চান্দ্রবর্ষের ছুটিতে এবার বড় ধাক্কা খেয়েছে থাইল্যান্ডের পর্যটন খাত। গতবছর এ অবকাশ মৌসুমে চীন থেকে ১ কোটি ১০ লাখ পর্যটক আসলেও এবার সেখানে বড় আকারের পতন ঘটেছে। প্রায় ৭০টি এয়ারলাইনসের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এমপিসি ফের সুদহার কর্তন করতে পারে বলে মনে করছে নমুরা।

গত ডিসেম্বরে চলতি বছরের জন্য ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল বিওটি। কিন্তু সম্প্রতি তারা বলছে, প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশেরও নিচে নেমে আসতে পারে।

আগামী ২৫ মার্চ পরবর্তী পলিসি মিটিংয়ে বসতে পারে বিওটি। তখন নীতিনির্ধারকরা নতুন অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিওটি গভর্নর ভিরাথাই সান্তিপ্রভুব এর আগে জানান, প্রবৃদ্ধি চাঙ্গায় প্রয়োজনে পলিসিতে পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। বুধবার তিনি বলছেন, নতুন সুদহার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যাপ্ত কমেছে কিনা সে বিষয়ে এখনই মন্তব্যের সময় আসেনি।

গত বছর বাণিজ্যনির্ভর থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে ২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। রফতানি সংকোচন, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা এবং শ্লথগতির বিনিয়োগ থাই অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য হেডলাইন মূল্যস্ফীতি ১%-৩% লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হতে পারে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন