প্রথমার্ধে বিক্রি ও মুনাফা বেড়েছে ইবনে সিনার

পলিমার ব্যবসায় নামতে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের হিসাব বছরের একই সময়ের চেয়ে ভালো ব্যবসা করেছে দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। এ সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি ও নিট মুনাফা বেড়েছে যথাক্রমে ১৯ ও ২২ শতাংশ হারে। এদিকে ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি প্লাস্টিক ও পলিমার পণ্য এবং পেট বোতল উৎপাদন ও বাজারজাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা ইবনে সিনা ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে যাচ্ছে।

জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ইবনে সিনার বিক্রি হয়েছে ৩০৬ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ২৫৭ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৪৯ কোটি ৭১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বা ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রস মুনাফা হয়েছে ১২৬ কোটি ৪২ লাখ ২৮ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০৪ কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির নিট মুনাফা ছিল ১৮ কোটি ৬২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে ইবনে সিনার নিট মুনাফা বেড়েছে ৪ কোটি ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা বা ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৯৬ পয়সা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইবনে সিনার বিক্রি হয়েছে ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ ২৬ হাজার টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ের ১২৪ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার তুলনায় ২৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা হয়েছে ৬২ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৫০ কোটি ২২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

গত হিসাব বছরের প্রথমার্ধের ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার তুলনায় এবার ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি নিট মুনাফা দেখিয়েছে ইবনে সিনা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ৪ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৫২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৬১ পয়সা।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইবনে সিনা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট বিক্রি হয়েছে ৫২৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৬৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নিট মুনাফা হয়েছে ৩৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪৫ কোটি ২২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৪ টাকা ৪৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৩২ পয়সা, ২০১৮ হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৯ টাকা ২৮ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ইবনে সিনা। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টকের পাশাপাশি ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এছাড়া ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য মোট ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল।

নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন: প্লাস্টিক ও পলিমার পণ্য এবং পেট বোতল উৎপাদন ও বিপণনের জন্য ইবনে সিনা পলিমার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালের পরিচালনা পর্ষদ। বুধবার কোম্পানিটির ২৭২তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন কোম্পানিটিতে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালের পাশাপাশি ইবনে সিনা ট্রাস্টেরও বিনিয়োগ থাকবে। নতুন কোম্পানির কারখানার অবস্থান হবে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনায়। নতুন সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটি গঠনের আগে ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালকে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন