কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৫৬ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৯ টাকা ৬ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৯ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরেও বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার। এছাড়া ২০১৬ হিসাব বছরেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা, আগের কার্যদিবসের চেয়ে যা ৭০ পয়সা বা ২ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর দর ২৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৪ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। এদিন ১৭৪ বারে কোম্পানিটির মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৭০টি শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা ও ৩১ টাকা ৭০ পয়সা।
২০০৮ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।