কমলগঞ্জে জলাবদ্ধতা ও বন্যা ঠেকাতে খনন চলছে লাঘাটা খালে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার

পলি জমে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাঘাটা খাল। এতে অল্প বৃষ্টি পাহাড়ি ঢলে বন্যা জলাবদ্ধতা তৈরি হতো আশপাশের এলাকায়। সমস্যা নিরসনে খালটি খনন শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যথাযথভাবে খালটি খনন হলে বন্যা জলাবদ্ধতার সমস্যা কাটানো যাবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

জানা গেছে, কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী আদমপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার ছড়া থেকে খালের উত্পত্তি। এটি রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে মনু নদে মিলিত হয়েছে। পলি জমে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টি পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল বলে পরিচিত পতনঊষার, শমশেরনগর, মুন্সীবাজার ইউনিয়ন এবং রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নে বন্যা জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ফলে ফসল নষ্ট হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয় কৃষকদের। কারণে বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন ধরে খালটি খননের দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো খালটি খননের উদ্যোগ নেয়।

পাউবো সূত্র জানায়, দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে লাঘাটা খালের খননকাজ শুরু হয়েছে। ২৪ কিলোমিটার খননকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। খননকাজ শেষ হলে এলাকার বন্যা জলাবদ্ধতার সমস্যাও কেটে যাবে।

স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ি ঢল বন্যার পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে পতনঊষার ইউনিয়নের কেওলার হাওরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত লাঘাটা খাল দিয়ে। কিন্তু খালটি ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আশপাশের জমি প্লাবিত হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এখন খাল খনন শুরু হওয়ায় সমস্যা আর থাকবে না।

মৌলভীবাজার কৃষক সংগ্রাম সমিতির নেতা রমজান আলী এবং কমলগঞ্জে হাওর নদী রক্ষা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সচিব তোয়াবুর রহমান বলেন, লাঘাটা খাল খনন সংস্কার আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। কয়েক বছরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষ থেকে ইউএনও, জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমরা স্মারকলিপি প্রদান সভা সমাবেশ করেছি। দেরিতে হলেও খাল খননের উদ্যোগ নেয়ায় আমরা খুশি। আশা করি লাঘাটা খাল খনন সম্পন্ন হলে দ্রুত পানি নিষ্কাশন শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদের জন্য সেচের সুব্যবস্থা হবে।

মৌলভীবাজার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, খননের জন্য আরো আগেই সরকারি উদ্যোগে মনু ধলাই নদসহ লাঘাট খালের জরিপকাজ শুরু হয়। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তখন খননকাজ শুরু হয়নি। তবে এখন খননকাজ শুরু হয়েছে। দুজন ঠিকাদারের মাধ্যমে খননকাজ চলছে। আশা করি, এতে বন্যা জলাবদ্ধতার সমস্যা লাঘব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন