৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনার জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে কোম্পানিটির কারখানা প্রাঙ্গণে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর।
সমাপ্ত হিসাব বছরে অ্যাম্বি ফার্মার
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা,
যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৩ টাকা ৪৪ পয়সা। এ
হিসেবে গত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৪ পয়সা বা ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে
২৪ টাকা ৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ২৫ টাকা ৬৮ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত
হিসাব বছরেও ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে অ্যাম্বি
ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৮ সালের
৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত ও চলতি হিসাব বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানির
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন
করেছে এআরজিইউএস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড (এসিআরএসএল)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল
অ্যাম্বি ফার্মা শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৫০১ টাকা। সমাপনী দর ছিল ৫০০ টাকা ৯০
পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪৪৮ টাকা থেকে ৯২২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা
করেছে।
১৯৮৬ সালে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন
খাতের কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন মাত্র আড়াই কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২ কোটি ৪০
লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৪ লাখ
শেয়ারের ৭৫ দশমিক ২৫ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২০ দশমিক ৭৪
শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।