এবার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন শাহাদাত

বণিক বার্তা অনলাইন

তিন বছর এখনও পার হয়নি। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অপরাধে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পেসার শাদাহাত হোসেন। পরে নিজেকে শুধরে নেবেন বলে অঙ্গীকার করে আবার ফিরেছিলেন ক্রিকেটে। কিন্তু সে অর্থে নিজেকে শোধরাতে পারেননি। এবার জাতীয় লিগে নিজ দলের সতীর্থকে পিটিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন শাহাদাত। আর এই কারণে তাকে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একইসঙ্গে তিন লাখ টাকা জমিমান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে শাহাদাতের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।

জাতীয় লিগের ম্যাচে গতকাল সোমবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার হয়ে খেলার সময়ে সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে বল শাইন করে দিতে বলেছিলেন শাহাদাত। কিন্তু অনীহা প্রকাশ করেন সানি। তাই মধ্যাহ্ন বিরতিতে সানিকে চড় ও লাথি মারেন শাহাদাত। পরে বাকী সতীর্থরা এলে বিষয়টি আর বাড়তে দেননি।

আর শাহাদাতের এমন কাণ্ডে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘খুলনা থেকে শাহাদাতকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের ৪ মাত্রা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারা ভঙ্গ করলে সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। ঘটনার পর ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ আইন অনুযায়ী ম্যাচের শেষ দুই দিনের জন্য বহিষ্কার করেন শাহাদাতকে। মঙ্গলবার টেকনিক্যাল কমিটির সভায় তাকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।

সভাশেষে টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন জানান, শাহাদাতের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় এনেই এই শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। “শাহাদাতের কিন্ত আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাস ছিল, সেটাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। মাঠের মধ্যে সতীর্থের গায়ে হাত তোলা, এটা তো গুরুতর অপরাধ। টেকনিক্যাল কমিটির সবাই তার এই শাস্তির ব্যাপারে একমত হয়েছে।”

“আমাদের আশা, অন্য ক্রিকেটারদের জন্যও এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যে কোন ক্রিকেটারের জন্যই এটা একটা খারাপ ব্যাপার যে,সে বারবার এরকম অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়াচ্ছে।  শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, এই বার্তাটা আমরা সবাইকে দিতে চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন