গ্রুপের নিট ভ্যালুয়েশন প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা

তানজিল চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইস্ট কোস্ট গ্রুপ

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কনগ্লোমারেট ইস্ট কোস্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন তানজিল চৌধুরী। তাছাড়া তিনি এমজেএল বাংলাদেশ ওমেরা পেট্রোলিয়ামের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি প্রাইম এক্সচেঞ্জ সিঙ্গাপুরেরও চেয়ারম্যান। ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট লন্ডন থেকে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্সে স্নাতক ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর করা তানজিল চৌধুরী দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তিনি দেশের অন্যতম মার্চেন্ট ব্যাংক ইসি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ২০১৪-১৫ মেয়াদে তিনি বাংলাদেশ মার্চেন্টস ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যবসায়ীর পাশাপাশি তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠকও। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। সম্প্রতি তিনি বণিক বার্তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, পুঁজিবাজার ইস্ট কোস্ট গ্রুপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী হাসান রাহাত

দেশের সার্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই?

আমাদের বর্তমানে সাড়ে শতাংশ হারে যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত ইতিবাচক। এমনকি বিশ্বের ইমার্জিং ইকোনমিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে বিগেস্ট মুভার। কিছুদিন আগে এইচএসবিসির একজন গ্লোবাল ইকোনমিস্ট দেশের কয়েকজন মিলিয়নেয়ার অন্ট্রাপ্রেনারদের সঙ্গে মিট করেছিলেন। তিনিও একই কথা বলেছেন যে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক নির্দেশকে যে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে তাতে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশই হবে বিগেস্ট মুভার। তবে এর মধ্যেও একটি শঙ্কার দিক রয়েছে। সেটি হচ্ছে আমাদের বর্তমানে যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তার কত শতাংশ সরকারি খাতের অর্থায়নের কারণে হচ্ছে, সেটি দেখতে হবে। আমি মনে করি, সরকারের কাজ হচ্ছে পলিসি সাপোর্ট দেয়া, বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুন তৈরি করা এবং সেগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটি নিশ্চিত করা। সর্বোপরি সরকারের কাজ হচ্ছে রেগুলেট করা। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে অবকাঠামো খাতে সরকারের অর্থায়ন করা ঠিক নয়। এতে সরকারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটি বেসরকারি খাতের কাছে ছেড়ে দেয়া উচিত। আর আমাদের দেশের বেসরকারি খাতের কিন্তু সে ধরনের সক্ষমতা রয়েছে এবং এরই মধ্যে তারা এটি প্রমাণ করেছে। বিশেষ করে আরো বেশি করে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি আমাদের এনার্জি কস্টের দিকেও নজর দিতে হবে। দেশে বর্তমানে যে শিল্পায়ন হচ্ছে, তাতে এনার্জির বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। গ্লোবাল মার্কেটের সঙ্গে কমপিট করতে হলে আমাদের এনার্জি কস্ট আরো কমিয়ে আনতে হবে। সরকার রূপপুরে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে, সেটি অত্যন্ত দুঃসাহসী একটি পদক্ষেপ। আমাদের সাইজের অনেক ইকোনমিই ধরনের প্রকল্প করার সাহস করবে না। এজন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হয়ে গেলে সেখান থেকে আমরা কম খরচে বিদ্যুৎ পাব। তাছাড়া আমাদের যে এনার্জি বাস্কেট রয়েছে, সামনের দিনগুলোয় সেটি মিক্সআপের মাধ্যমে ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন