ভারতে তুলা উৎপাদন বাড়লেও স্থিতিশীল থাকবে রফতানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বের শীর্ষ তুলা উৎপাদক দেশ ভারত। চলতি বছরের অক্টোবর দেশটিতে শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ তুলা মৌসুম। মৌসুমে দেশটির তুলা উৎপাদন ১৩ দশমিক শতাংশ বাড়তে পারে। তবে উৎপাদন বাড়লেও রফতানি অনেকটা স্থিতিশীল থাকবে। কারণ ভারতের তুলার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি। সুযোগে ভারতের তুলনায় কম মূল্যে সরবরাহ বাড়িয়ে এশিয়ার বাজার দখল নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিলের মতো বড় উৎপাদক দেশগুলো। খবর রয়টার্স বিজনেস লাইন।

সম্প্রতি ২০১৯-২০ তুলা মৌসুমে দেশটির তুলা সম্পর্কিত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিআইএ) প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, এবার দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় বেড়ে দাঁড়াবে কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) তুলা উৎপাদন হতে পারে। আগের মৌসুমে কৃষিপণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ ছিল কোটি ১২ লাখ বেল। সে হিসাবে এবার মৌসুমে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন বাড়বে ৪২ লাখ ৫০ হাজার বেল। তবে উৎপাদন বাড়লেও সময় রফতানি থাকবে স্থিতিশীল। এবার ভারত সব মিলিয়ে ৪২ লাখ বেল তুলা রফতানি করতে পারে, যা আগের মৌসুমের সমান। ২০১৮-২৯ মৌসুমে দেশটির তুলা রফতানি এক দশকের সর্বনিম্নে নেমে এসেছিল।

মূলত ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে কৃষিপণ্যটির দাম আন্তর্জাতিক মূল্যসূচকের তুলনায় উপরে অবস্থান করছে। ফলে দেশটি থেকে পণ্যটি কিনতে আমদানিকারকদের আগের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। ফলে ক্রেতা হারিয়ে দেশটির তুলা রফতানি সংকুচিত হয়ে আসতে পারে।

তুলার চাহিদা পূরণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অধিকাংশ দেশ সাধারণত ভারতের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু টানা দ্বিতীয়বারের মতো এবার দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি কমলে ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ পাকিস্তানসহ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলার বাজার দখল নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ব্রাজিল।

মুম্বাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডি ডি কটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অরুন সেখ সারিয়া বলেন, নতুন মৌসুমে তুলার সরবরাহ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয় দাম আন্তর্জাতিক দামের উপরে থাকায় দেশটির ব্যবসায়ীদের রফতানি চুক্তি নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। বর্তমানে ভারতীয় তুলার দাম অন্য দেশের তুলনায় পাউন্ডপ্রতি প্রায় সেন্ট বেশি।

চলতি বছরের শুরু থেকে ভারতে অতিরিক্ত খরা ভাব বজায় ছিল। এতে দেশটির খরিফ শস্য আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি ভারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে। সময় দেশটির বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পৌঁছে যায়। এছাড়া চলতি মাসজুড়েও ভারতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতে মাটির আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় চলতি মৌসুমে দেশটির তুলার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছে সিআইএ।

তবে দেশটির প্রধান তুলা উৎপাদনকারী এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতে তুলা সংগ্রহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে কীটপতঙ্গের আক্রমণের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তুলেছে। মহারাষ্ট্র রাজ্যের খাতসংশ্লিষ্ট একজন ব্যবসায়ী বলেন, দেশটির প্রধান তুলা উৎপাদনকারী অঞ্চলে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে তুলার ক্ষতি করতে পারে।

এদিকে অনুকূল আবহাওয়া বির?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন