মহাপ্রাচীর ঘিরে থাকা পাঁচ মিথ

রুহিনা ফেরদৌস

হাজার বছরের গল্প গায়ে জড়িয়ে যে প্রাচীর আজও অটুট-উজ্জ্বল, স্বাভাবিকভাবেই তাকে ঘিরে থাকবে অসংখ্য প্রাচীন অ্যাখ্যান। ইতিহাস বলে এর গোড়াপত্তন কাল খ্রিস্টপূর্ব ২২০ থেকে। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি পর্বের উত্তরাধিকারে ভাগ হয়ে প্রাচীরটি রচিত হতে থাকে। দীর্ঘ মানবনির্মিত দেয়াল নিয়ে মুখে মুখে ঘুরে বেড়ানো অন্যতম প্রচলিত গল্পটি হলো, চাঁদ থেকেও চোখে পড়ে জিনিস। কিংবা এটি অভেদ্য। কখনো এমনও বলা হয়েছে যে প্রাচীরটি হাজার মরদেহ দিয়ে ভর্তি!

 

চাঁদবিষয়ক গল্পের নেপথ্যে

১৯০৪ সালে হেনরি নরম্যান তার দ্য পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য ফারইস্ট বইতে বলেছিলেন, প্রাচীরটি তৈরির সময়কাল যেমন বিস্মিত করে, তেমনি আরো বিস্ময়কর ব্যাপারটি হলো, এটি চাঁদ থেকেও দেখা যায়! এদিকে ভ্রমণকাহিনীর পাঠকদের কাছে পরিচিত নাম রিচার্ড হ্যালিবার্টন। ১৯৩৮ সালে আমেরিকান পরিব্রাজক লেখক প্রকাশ করেন তার বুক অব মার্ভেলস: দি ওরিয়েন্ট। চীনের প্রাচীরের গুণগান করতে গিয়ে তিনি তার বইয়ে এক ধাপ বাড়িয়ে লেখেন, চীনের প্রাচীর হচ্ছে মানবসৃষ্ট একমাত্র স্থাপনা, যা সম্ভবত চাঁদ থেকেও দেখা যায়। যদিও তখনো মানুষের চাঁদে অবতরণের ঘটনা ঘটেনি। বার্টন স্রেফ অনুমান করে নিয়েছিলেন। তাছাড়া তার ভ্রমণবিষয়ক বইগুলো যেহেতু আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিল, তাই প্রাচীর ঘিরে বার্টনের কথাগুলো মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে।

 

জিয়াংগুর কান্না

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন