সবুজ কারখানা

খালিদ মাহমুদ

প্রাচীন ঐতিহ্যের মসলিন আর অধুনা প্রায় হারাতে যাওয়া জামদানির সুখস্মৃতিকে সঙ্গী করে বর্তমান বাংলাদেশের শ্রমঘন পোশাক শিল্পের সূচনা, বিকাশ ক্রমোন্নয়ন। আবহমান জনপদের সরল নারীদের মমতা আর নিপুণ হাতের সেলাইকর্ম এখন নকশি কাঁথার শীতল অঙ্গনকে পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রযুক্তি আর যন্ত্রের সহজলভ্যতাকে পুঁজি করে বিশ্বায়নের যুগে একটি আকর্ষণীয় ব্র্যান্ড হিসেবে উন্নত দেশগুলোতে পরিচিতি তৈরি করেছে। পর্যাপ্ত জনশক্তি, দক্ষ সুলভ শ্রমবাজার সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় উন্নত বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকের শেষদিকে হাতে গোনা কয়েকটি কারখানা নিয়ে পোশাক শিল্পের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৫ সালে কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজারের অধিক। বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে আমাদের শ্রমে গড়া পণ্য গ্রাহকের মন জয় করে চলছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এই দুটি খাতেই পোশাক শিল্প অবদান রাখছে সমানভাবে।

অপার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হওয়া পোশাক শিল্পে উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও কম নয়। তাজরীন ফ্যাশনসের আগুনে ১১৭ জন এবং পরের বছর সাভারের রানা প্লাজা ধসে ১১৩০ জন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশের বিষয়টি সামনে চলে আসে। সামগ্রিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, পোশাক শিল্পের সম্ভাবনাময় যাত্রাপথের পেছনের কাজ করতে আমরা প্রায়ই ব্যর্থ হয়েছি। বিশেষত দ্রুতবর্ধনশীল শিল্পের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে একেবারেই অপরিকল্পিত। পোশাক শিল্পে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ভবনগুলোর ৯০ শতাংশই কাঠামোগত বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং কাজের পরিবেশ বিবেচনায় সন্তোষজনক নয়। রূঢ় বাস্তবতা হলো, অনেক বছর ধরে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা ভবনগুলো চাইলেই এখন আর পরিবেশ নিরাপত্তাগত দিক দিয়ে খুব বেশি ভালো অবস্থানে নেয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনের তাগিদে এখন নতুন করে প্রচুর কারখানা ভবন তৈরি করতে হচ্ছে এবং এখনই সময় পরিবেশ ইস্যুতে সচেতন হওয়ার।

পরিবেশবান্ধব কেন হতে হবে

আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউজ ইফেক্ট, কার্বন নিঃসরণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দূষণ ইত্যাদির মাধ্যমে বাসযোগ্য পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে পৃথিবীর, যার অন্যতম কারণ শিল্প-কারখানার উৎপাদিত বর্জ্য। তা সত্ত্বেও শিল্প-কারখানাকে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ কারখানা মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম মাধ্যম। শিল্প বিপ্লব-উত্তর আধুনিক পৃথিবীতে কারখানা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন