৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে নূরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ, সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় চিটাগং বোট ক্লাবে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নভেম্বর।
সমাপ্ত হিসাব বছরে নূরানী ডায়িংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। এ হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ১৭ পয়সা বা ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর শেষে ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ ও ১১ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় নূরানী ডায়িং। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৫ সালে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা করে নূরানী ডায়িং। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তারা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। কোম্পানিটি নিজ কারখানায় আমদানীকৃত সুতা রঙ করে ও তা থেকে সোয়েটার বুনে। এছাড়া রঙ করা সুতা রফতানিমুখী বন্ডেড পোশাক কারখানাগুলোতেও বিক্রি করে তারা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্টক এক্সচেঞ্জে তাদের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার নূরানী ডায়িং শেয়ারের সর্বশেষ দর ২০ পয়সা বা ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৯ টাকা ৫০ পয়সা। সমাপনী দরও ছিল ৯ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৯ টাকা ১০ পয়সা ও ২৪ টাকা।