ডাইনিংয়ের খাবারের মান যাচাইসহ বিভিন্ন কার্যক্রম তদারকিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান হল পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আকস্মিকভাবে ওই হল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় হলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন ও আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও খোঁজ নেন।
হল পরিদর্শনকালে যবিপ্রবির ডিনস
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল
কবীর জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক ড.
মো.
নাজমুল হাসান, প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল
উদ্দিন পাটোয়ারি, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. প্রকৌশলী মো. আমজাদ
হোসেন, সহকারী প্রভোস্ট ড.
মো.
ওবায়েদ রায়হান, মো. মজনুজ্জামান, মো. হাবিবুর
রহমান প্রমুখ উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন।
জানা গেছে, শহীদ
মসিয়ূর রহমান হল পরিদর্শনের সময় অধ্যাপক ড.
আনোয়ার হোসেন প্রথমে ডাইনিংয়ের রান্নাঘরে যান। এ
সময় রান্নাঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে রান্নার জন্য লাকড়ির
চুলা ব্যবহারের কারণে ঘরের চালে কালি জমে যাওয়ায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রান্নাঘরে
অবিলম্বে গ্যাসের চুলা বসানো হবে এবং এলপিজি ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
ভর্তুকি দেবে। হলের ডাইনিং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশে রান্না-বান্না এবং
খাবার পরিবেশন নিশ্চিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
পরে যবিপ্রবি উপাচার্য হলের ডাইনিংয়ের
প্রধান বাবুর্চিকে ছাত্রদের জন্য রান্না করা দুপুরের খাবার দেখাতে বলেন। বাবুর্চি
খাবার দেখালে তিনি ছাত্রদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেন এমন খাবার খেতে পেরে তারা সন্তুষ্ট
কিনা। এর জবাবে উপস্থিত ছাত্ররা জানান,
গত ২৩ সেপ্টেম্বর উপাচার্য হলের ছাত্রদের সঙ্গে
খাবার গ্রহণের পর ডাইনিং পরিচালনা কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন ডাইনিংয়ের
খাবারের মান আগের চেয়ে ভালো। উপাচার্যকে হলের সার্বিক বিষয়েও দৃষ্টি রাখার অনুরোধ
করেন ছাত্ররা।
এ সময় যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, সব
সময় তিনি হলের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন। সপ্তাহের যেকোনো দিন তিনি হলের ডাইনিংয়ে খাবার খেতে আসবেন
বলেও শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
ডাইনিং পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার
হোসেন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় হলের প্রবেশপথ, সিঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ
সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য হলের বিভিন্ন ফ্লোর পরিদর্শন করেন। এ সময় হলটি
র্যাগিং, মাদক ও টর্চার সেলমুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যবিপ্রবির
হলগুলোয় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের
ব্যবস্থা নেবে।
