ফিলিপাইনের চাল আমদানি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যটি আমদানিতে সরকার শিথিলতা আরোপ করার পর গত সাত মাসে দেশটির ব্যবসায়ীরা ১৬ লাখ টনের বেশি চাল আমদানি করেছেন। দেশটির ব্যুরো অব প্লান্ট ইন্ডাস্ট্রির (বিপিআই) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস মিরর।
দেশটির কৃষি বিভাগ (ডিএ) ও বিপিআইয়ের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাত মাসে দেশটির কয়েকটি বড় কোম্পানিসহ ২০৮টি প্রতিষ্ঠান ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ লাখ ১৪ হাজার টন চাল আমদানি করেছে। গত ৫ মার্চে দেশটিতে চাল বাণিজ্যে উদারীকরণ আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে খাদ্যপণ্যটির আমদানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বিপিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশটির আমদানিকারকরা ভারত, ইতালি, মিয়ানমার, পাকিস্তান, স্পেন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি বাড়িয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল আমদানি করেছে পিউরগোল্ড প্রাইস ক্লাব ইনকরপোরেশন।
প্রতিষ্ঠানটির এ সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ৫২ হাজার ২১ টন চাল, যা মোট আমদানির ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এর পর শীর্ষ দুটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের আমদানি ছিল যথাক্রমে ৪৮ হাজার ৩৬০ ও ৪৫ হাজার ৪১৮ টন।
তবে গত মার্চ থেকে চাল বাণিজ্যে উদারীকরণের পর থেকে উদ্ভিদ সংগনিরোধ স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি ইমপোর্ট (এসপিএস-আইসি) সনদ বাধ্যতামূলক করে বিপিআই। এর ফলে কোনো বেসরকারি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির আগে বিপিআইয়ের কাছ থেকে এ সনদ নিতে হবে।
ফিলিপাইনে চাল বাণিজ্যে উদারীকরণ আইন বা রিপাবলিক অ্যাক্ট, ১১২০৩ কার্যকরের পর চাল আমদানির ওপর ন্যাশনাল ফুড অথরিটির (এনএফএ) নিয়ন্ত্রণক্ষমতা বাদ হয়ে যায়।
এদিকে চাল আমদানি বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে দেশটির কৃষক ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তারা বলছেন, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম কমে দুই অংকে নেমে এসেছে।
তবে কৃষক পর্যায়ে এমন দাবি ওঠার পর দেশটির কৃষি বিভাগ একটি প্রাথমিক তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে চাল আমদানিতে নিরাপত্তা শুল্ক আরোপ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। চাল আমদানি বৃদ্ধিতে স্থানীয় কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে লক্ষ্যেই এ শুল্ক আরোপ করতে পারে দেশটির সরকার।
