উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে চীন। বহির্বিশ্বের কাছে বিনিয়োগ, উচ্চশিক্ষা, পর্যটনসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই চীন এক নতুন আকর্ষণের নাম। খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ সালের স্যাং যুগে গঠিত চীন এশিয়ার প্রাচীন দেশগুলোর মধ্যে একটি। পরিবেশগত দিক থেকেও চীনের প্রকৃতি প্রাচীন ধাঁচের। আর বৈচিত্র্যের দিক থেকে বিবেচনা করলে এশিয়ায় চীনের অবস্থান হবে প্রথম সারিতে। ঐতিহাসিক স্থাপত্য থেকে শুরু করে আধুনিক আকাশচুম্বী দালান-কোঠা সবই রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এ দেশে। যদিও চীন তার সাংস্কৃতিক আকর্ষণগুলোর জন্য অনেক বেশি জনপ্রিয়, তবে দেশটির বিভিন্ন ধরনের দুঃসাহসিক ও প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য আপনাকে অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করতে বাধ্য। তাই চীনে প্রথমবার ভ্রমণ করলে যেসব স্থান মিস করবেন না—
বেইজিং
জগতে এমন জায়গা খুব কমই আছে, যেখানে বেইজিংয়ের মতো এত বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। প্রাচীনকালের স্থাপত্যের সংরক্ষণাগার তো বটেই, বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বিল্ডিংয়েরও আঁতুড়ঘর এ বেইজিং। স্বাভাবিকভাবে চীনের রাজধানী ও বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর বেইজিং ঘোরা ছাড়া চীন ভ্রমণ সম্পূর্ণ হবে না। বেইজিংয়ের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। ক্রমবর্ধমান ভিড় সত্ত্বেও ফরবিডেন সিটি, চীনের গ্রেট ওয়াল, সামার প্যালেসের পাশাপাশি স্বর্গের মন্দির শহরটির বিখ্যাত কয়েকটি স্থান। এই একটি শহরেই রয়েছে ইউনেস্কো ঘোষিত সাতটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। সে কারণে সারা পৃথিবীর পর্যটকদের প্রধান আগ্রহ থাকে বেইজিংয়ের প্রতি।
চীনের মহাপ্রাচীর
পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি চীনের মহাপ্রাচীর। মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য এটি। এ প্রাচীর পাঁচ থেকে আট মিটার উঁচু এবং শাখা দেয়ালগুলো বাদে এর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটার। সাংহাই পাস থেকে শুরু হয়ে প্রাচীরটি শেষ হয়েছে লোপনুরে। বলা হয়, এটিই পৃথিবীর একমাত্র স্থাপনা, যা চাঁদ থেকেও দেখা যায়। এ মহাপ্রাচীরের চীনা নাম চাংছ্যাং, যার অর্থ লম্বা দেয়াল। ২ হাজার ৩০০ বছরের পুরনো দুর্দান্ত এ প্রাচীরের অনেক অংশেই যেতে পারেন আপনি। মুটিয়ানো প্রাচীর, জিনশালিং ও গুবেইকু প্রাচীরের মতো স্থানগুলোয় যেতে পারেন। এ স্থানগুলোয় তুলনামূলক ভিড় কম হয়।
পাশাপাশি চলার সময় ছবি তোলা এবং এ চিত্তাকর্ষক হাইকিংয়ে আপনি দৌড়াদৌড়ি ও প্রহরীদের কাছাকাছি ক্যাম্প করে রাতে থাকার জন্য দুর্দান্ত একটি জায়গা।
ঝাংজিয়াজি ন্যাশনাল ফরেস্ট পার্ক