দেশের খবর

 বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের শিকদারবাড়িতে দুর্গা পূজা শুরু হয় ২০১১ সালে। প্রথম বছরই ২৫১টি প্রতিমা নিয়ে পূজার আয়োজন মুগ্ধ করে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। এর পর থেকে প্রতি বছরই এ মণ্ডপে বাড়তে থাকে প্রতিমার সংখ্যা। এ বছর মণ্ডপটিতে পৌরাণিক বিভিন্ন কাহিনী নিয়ে মোট প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে ৮০১টি।

গত ১ মে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে ৮০১ প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন প্রতিমা শিল্পী বিজয় কৃষ্ণ বাছাড়। পাঁচ মাস ধরে তারা নিরলসভাবে প্রতিমাগুলো তৈরি করেছেন। এ বিষয়ে বিজয় কুমার বাছাড় বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো আমরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি। এ বছর আমরা প্রতিমার মধ্য দিয়ে পৌরাণিক বিভিন্ন কাহিনী ফুটিয়ে তুলেছি। এর মধ্যে রয়েছে পৌরাণিক সৃষ্টি রহস্য, কার্তিক, গণেশসহ বিভন্ন দেবতার জন্ম, শ্রীকৃষ্ণের নৌকাবিলাসসহ বিভিন্ন ঘটনা। আমরা আশা করছি, এবার দর্শনার্থীরা প্রতিমাগুলো দেখে আনন্দ পাবে।

প্রতিমার পাশাপাশি শিকদারবাড়ির পূজায় এবার মণ্ডপ ও প্যান্ডেলের সজ্জায়ও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মাগুরার বৈশাখী ডেকোরেশনের সাজসজ্জা বিভাগের প্রধান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ধরে আমরা মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ করছি। আশা করছি, এ বছর দর্শনার্থীরা প্রতিমার পাশাপাশি সাজসজ্জা দেখেও মুগ্ধ হবে।

শিকদারবাড়ির দুর্গা পূজার আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিটন শিকদার বলেন, ২০১১ সালে ২৫১ প্রতিমা নিয়ে এ দুর্গা পূজার যাত্রা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছরই প্রতিমার সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৬ সালে প্রতিমার সংখ্যা ছিল ৬৫১। পরের বছর তা বৃদ্ধি করে ৭০১টি করা হয়। আর এবার আমার বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী আরো ১০০ প্রতিমা বাড়িয়েছি। এ বছর দর্শনার্থীরা অন্য বছরের থেকে ব্যতিক্রমী আয়োজন দেখতে পাবে। তাছাড়া এবার মণ্ডপে আলোকসজ্জার পাশপাশি নিরাপত্তায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দর্শনার্থীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা।

স্থানীয়রা জানায়, শিকদারবাড়ির দুর্গা মণ্ডপ প্রতি বছরই ভিন্ন আয়োজন করে। সম্ভবত এটিই দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুর্গা মণ্ডপ। অন্য সব মণ্ডপ থেকে আলাদা হওয়ায় এখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ও হয় বেশি।

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, বাগেরহাটের প্রত্যেকটি মণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। তবে শিকদারবাড়িতে শারদীয় দুর্গোৎসবের বড় আয়োজনের কারণে সেখানে আমরা বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। আশা করছি, ভক্ত ও দর্শনার্থীরা নিরাপদে নির্বিঘ্নে পূজা