অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে
পুলিশের ৭.৬২ রাইফেল নিয়ে করা মন্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে উদ্বৃত করার অভিযোগ তুলেছেন
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত
আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, আমি যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম তখন একটা
কথা বলেছিলাম। আমাদের পুলিশকে মানবীয় থেকে দানবীয় করা হয়েছিল। তাদের হাতে দেয়া ৭ দশমিক
৬২ রাইফেল মারণাস্ত্র বলতে যদি কোনো কিছুকে বোঝানো হয়, তাহলে এটি সেটি। এ রাইফেলের
একটা বুলেট আমি দেখেছি একটা ছেলের এখানে (বাহু) লেগেছে, তার পুরো হাত ভেঙে চলে গেছে।
পুলিশের কাছে ৭ দশমিক ৬২ রাইফেল কারা দিয়েছে এটি প্রথমে আমি তদন্ত করব। এমনকি আমি এ
কথাও বলেছিলাম, সিভিলিয়ানদের হাতেও এ রাইফেল আমি দেখেছি। তারা পুলিশের অংশ হিসেবে ছিল।
সেটিও আমি তদন্ত করব বলেছি। কিন্তু আমাকে কোট করা হয়েছে, ‘কোথা থেকে আসছে এসব আমি জানি
না।’ যেটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, কেন পুলিশকে এ রাইফেল দেয়া হয়েছে। এবং এত বছর এ রাইফেল
পুলিশের নামে কীভাবে সিভিল পোশাকের লোকজনের কাছে গিয়েছে? যারা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে
হত্যা করেছে। এ কথা আমি বলেছিলাম। ৪ তারিখে আমি যে কথা বলেছিলাম, ৫ তারিখে যদি সরকার
পতন না হতো, তাহলে আমার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হতো। আমিও সরকারের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত
হতাম। শুধু আমি না আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা সবাই। কারণ আমরা আর্মিকে রিভোল্ট করার
জন্য বলেছিলাম। যারা শুনেছেন তারা জানেন।
এম সাখাওয়াত বলেন, যখন আমরা পুলিশে সংস্কারের কথা বলছি, তখন আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে। পুলিশের হাতে এ রাইফেল (৭.৬২) কারা দিয়েছে, কখন দিয়েছে, কীভাবে দিয়েছে সেটি আমাদের জানতে হবে। এ রাইফেল আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যবহারের জন্য এবং আর্মড ফোর্সের জন্য। এটি পুলিশের কাছে কারা দিয়েছে?