![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_390237_1.jpg?t=1720426356)
ব্রহ্মপুত্রের
পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সড়ক
ভেঙে উঁচু এলাকায় হুহু করে ঢুকছে পানি। প্লাবিত হয়ে পড়ছে উঁচু এলাকার ঘর-বাড়িও।
পনিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার প্রায়
প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক চরাঞ্চলের দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
অন্যদিকে
বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা, দেখা
দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। নিচু এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক
তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
উলিপুর
উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের গুজিমারী চরের বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরে
আমরা পানির ওপর ভাসছি। নলকূপ তলিয়ে আছে, বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি না, ঠিকমত রান্নাও
করতে পারছি না। এমন অবস্থায় দায়িত্বশীল কেউ তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ
করেন তিনি।
একই
চিত্র ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অন্যান্য চরাঞ্চলেরও। দুর্গম চরের বাসিন্দাদের ঘরের
চাল পর্যন্ত পানি পানি ওঠায় তারা গবাদি পশুসহ ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয়
নিয়েছেন।
এদিকে
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বন্যা কবলিত
এলাকা পরিদর্শন করে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার হাতিয়া ইউনিয়নের ফকিরের চরে ২ শতাধিক মানুষের
মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ,
পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী
রাকিবুল হাসানসহ উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ বিতরণের সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন জানান, চলতি মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। এ কারণে বন্যা কবলিতদের জন্য যখন যা প্রয়োজন তা করা হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। পাশাপাশি চরাঞ্চলের যেসব নারী ও শিশু রয়েছে তাদের প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, হাতিয়া পয়েন্টে
ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি
বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা ব্রহ্মপুত্রের পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস
রয়েছে।