ছবি : বণিক বার্তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ব্লু ইকোনমি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গতকাল সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ। সহযোগী হিসেবে ছিল এডিবি।
সম্মেলনে স্পিকার বলেন, ‘তেল উত্তোলন ও ফিশারিজের পাশাপশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হতে পারে সমুদ্র। আর মাতারবাড়ী সমুদ্র দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগের কেন্দ্র হতে পারে। আলাদা জীবিকার উৎসও এখন সাগর। তবে এসব নির্ভর করে পারস্পরিক অংশীদারত্বের ওপর। তাই সরকারের সঙ্গে দেশী-বিদেশী সংস্থার অংশীদারত্ব প্রয়োজন। সমুদ্র গবেষণায় জোর দিতে স্বাধীনতার পরই বঙ্গবন্ধু সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন ১৯৭৩ সালে। এখন এ খাতে আরো গবেষণায় জোর দিতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, ‘আধুনিক ফিশারিজের জন্য গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ব্লু ইকোনমি আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয় উপকূলে। তাই আমাদের দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।’
সম্মেলনে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রোটিনের ২০ শতাংশ আসে সমুদ্র থেকে। তাছাড়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণের জন্য এটা প্রয়োজন। তাই আমরা ব্লু ইকোনমি সম্মেলনের সহযোগী হয়েছি। এখন থেকে সবুজ জ্বালানির ব্যবস্থা করতে পারবে বাংলাদেশ। এসব ক্ষেত্রে সহায়তা নিয়ে পাশে থাকবে এডিবি।’
