প্রবাসীদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে অতীতেও কাজ করেছে সরকার, বর্তমানেও
কাজ করছে, ভবিষ্যতেও তাদের কল্যাণে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদেশ ফেরত প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মো. মঈন উদ্দিন মঈন এমপি, শোয়াইব আহমাদ খান (অতিরিক্ত সচিব),
মশিউর রহমান খান, সংস্থার সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুলুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশে দক্ষ অভিবাসী কর্মী প্রেরণের পাশাপাশি
প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের অর্জিত জ্ঞান ও পুঁজি দেশের সামগ্রিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক
কার্যক্রমে যুক্তকরণের লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দক্ষ জনবল প্রেরণের মাধ্যমে রেমিট্যান্স
প্রবাহ বাড়ানো হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে
আধুনিক ও যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রবাসীদের কল্যাণে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেয়
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। কল্যাণ বোর্ড প্রবাসীর পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে তাদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের উন্নয়ন ও সহায়তায় ভাতা দেয়া হয়। যা
প্রবাসীর পরিবারের অর্থবহ ও টেকসই কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের
স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এবং তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত, সমৃদ্ধ
ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন। সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের অবদানকে
সর্বদা স্বীকার করে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, আমরা তাদের (অভিবাসী কর্মী) থেকে অনেক
কিছু নিয়েছি, এখন তাদের কিছু ফেরত দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহতী উদ্যোগ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে
বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।